আদালতে হট্টগোল: পাঁচ আইনজীবীর ক্ষমা প্রার্থনা
হাইকোর্টের এক বেঞ্চ অফিসারকে মারধর, মামলার নথি তছনছ ও আদালতের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী।
আইনজীবীদের ক্ষমার আবেদন আদালতের উপস্থাপনের পর বিচারপতির মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ঠিক করেছেন।
আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমূখ।
ক্ষমা প্রার্থনাকারী পাঁচ আইনজীবী হলেন, নূরে ই আলম উজ্জ্বল, লিজেন পাটোয়ারী, মাহমুদ, মতিলাল বেপারি ও মোহাম্মদ আলী।
হাইকোর্টের ২৪ নম্বর কক্ষে (এনেক্স) এক বেঞ্চ অফিসারকে মারধর, মামলার নথি তছনছ ও আদালতের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে গত ১৯ জুন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে পাঁচ আইনজীবীকে ২ জুলাই আদালতে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দেন। ওই আদেশে বলা হয়, ২৪ নম্বর কক্ষে (এনেক্স) কিছুসংখ্যক আইনজীবী চিৎকার শুরু করেন, যা এ আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। এরপর চার আইনজীবী ডায়াসে চলে এসে রফিকুল ইসলাম নামের বেঞ্চ কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন, তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এবং আদালতের মামলার নথিপত্র তছনছ করেন। তাদের অজুহাত, তালিকাভুক্ত না হওয়া মোশনের (আবেদন) শুনানি হয়নি। আইনজীবী মোহাম্মদ আলীসহ অন্য কিছু আইনজীবী ডায়াসের পাশে দাঁড়িয়ে এসব কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। তখন আদালত সংলগ্ন খাস কামরায় থাকা বিচারকেরা আইনজীবীদের এমন হট্টগোলের শব্দ শুনতে পান। আদালতে আইনজীবীদের এমন আচরণ আদালতের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা খাটো করেছে; যা আদালত অবমাননার শামিল এবং শাস্তিযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয় আদেশে।
(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এমএবি/জেবি)