নাটোরে মোনায়েম খানের নামফলক অপসারণে আল্টিমেটাম

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০১৭, ১৯:০৮

মন্ত্রণালয়ের আদেশের পরও নাটোরের উত্তরা গণভবন থেকে স্বাধীনতাবিরোধী মোনায়েম খানের নামফলক অপসারণ না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা মঙ্গলবারের মধ্যে নামফলক অপসারণের দাবি জানিয়েছে।

সোমবার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

কর্মসূচিতে নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, ‘কুখ্যাত মোনায়েম খানের নামফলক অপসারণের জন্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি আসার পরও কালক্ষেপণ করছেন গনপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী মশিউর রহমান। মুক্তিযোদ্ধাদের না জানিয়ে গত ৯ জুলাই অপসারনের দিন ঠিক করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা অপসারণ করা হয়নি।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা শাখার আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

উত্তরা গণভবন থেকে মোনায়েম খানের নামফলক অপসারণের গত ২৯ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। গত ৫ জুলাই নাটোরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমানের কাছে এসে পৌঁছে চিঠিটি।

চিঠি পেয়ে নড়েচড়ে বসে নাটোরের গণপূর্ত বিভাগ। গত রবিবার (৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে তিনটায় নামফলক অপসারণের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু রবিবার সকালে হঠাৎ করেই স্থগিত ঘোষণা করা হয় এই কার্যক্রম। এরপর থেকেই শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ঢাকায় অবস্থান করার কারণে তিনি নাটোরের এসে নামফলক অপসারণ করবেন। তাই নামফলক অপসারণের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নাটোরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অনতিবিলম্বে নামফলক অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাই গত রবিবার অপসারণের জন্য সময় নির্ধারণ করেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, জেলা প্রশাসক বাইরে থাকায় পরে অপসারনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বলেছেন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোপনে নামফলক অপসারণের চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সকলকে অবহিত করে আসছে। গত রবিবার নির্বাহী প্রকৌশলীই সময় নির্ধারণ করেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিরোধ তৈরি করেছেন তিনিই। তাছাড়া নামফলক অপসারণের পুরো বিষয়টিই গণপূর্ত বিভাগের। জেলা প্রশাসক এই বিষয়ে সব সময়ই সহযোগিতা করে আসছেন।

ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :