সাত কেজির টিউমারে দুঃসহ যন্ত্রণায় স্কুলছাত্র সবুজ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ জুলাই ২০১৭, ২১:৫১ | প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০১৭, ২১:১৭

সময়টা খেলাধুলা আর লেখাপড়া করে কাটানোর। কিন্তু এখন সে যন্ত্রণা আর দুঃখ নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। কারণ সাত কেজি ওজনের টিউমার পেটে বহন করে চলছে শিশু সবুজ। অসহায় এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চায় সে।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার দবিরগঞ্জ গ্রামে নুরুল ইসলামের ছেলে সবুজ। সে দবিরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সবুজের বাবা নুরুল ইসলাম মাছ বিক্রি করে যা আয় করেন তা দিয়ে ঠিকমতো সংসারই চলে না, ছেলের চিকিৎসা করাবেন কীভাবে। অভাবের কারণে চিকিৎসা পায়নি মেধাবী ছাত্র সবুজ।

জন্মগত পেটের সঙ্গে ছোট টিউমারেরের মতো নিয়ে পৃথিবীতে আসে সবুজ দ্রারিদ্র পিতার ঘরে। ২০০৪ সালে জন্ম নেয় সবুজ। সবুজের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেটে টিউমারের মতো ওটা বাড়তে থাকে। চার ভাই বোনের মধ্যে সবুজ তৃতীয়। বড় ভাই শ্রমিকের কাজ করে। আর বাবা মাছ বিক্রি করে টানাটানির মধ্যে চলছে সংসার।

সবুজ ঢাকাটাইমসকে জানান, স্কুলে গেলে কেউ তার সঙ্গে মিশতে চায় না। বন্ধুরা যখন খেলাধুলা করে সে তখন তাকিয়ে দেখে, গ্রামের কেউ তার সাথে মিশতে চায় না। সবুজ বলে, ‘আমার খুব কষ্ট হয়, প্রচণ্ড ব্যথা করে পেটে। আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচান।’

সবুজের মা নার্গিস ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে দেখলে খুব কষ্ট হয়। ধারদেনা করে ৫০ হাজারের মতো টাকা খরচ করে দুটি বেসরকারি হাসপাতালে কিছু দিন চিকিৎসা করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দেশের সবাই মিলে যদি আমার ছেলেটির চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন তাইলে সবার জন্য দোয়া করবো। মাত্র ৯০ হাজার টাকা জন্য কি আমার ছেলে এভাবে শেষ হয়ে যাবে চোখের সামনে।’

সমাজের বিত্তবানরা একটু এগিয়ে এলে অসহায় এই শিশুটিকে করুণ যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :