জামালপুরে বন্যায় নতুন করে ২০ গ্রাম প্লাবিত

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০১৭, ২১:৩৩

যমুনা নদীর পানি না বাড়ায় জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি ও জামালপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আরও ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এনিয়ে জেলার পাঁচ উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যমুনা নদীর পানি রবিবার ২ সেন্টিমিটার কমলেও সোমবার তা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৭ সিন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীচর, তুলশীচর, মেলান্দহের মাহমুদপুর, মাদারগঞ্জের বালিজুরী, জোড়খালী, সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ২টি ওয়ার্ডসহ ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

হুমকির মুখে পড়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের খোলাবাড়ি-মণ্ডলবাড়ি বাজার সড়ক বাঁধ। এই বাঁধটি ভেঙে গেলে পুরো ইউনিয়নটি বন্যা কবলিত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এই বাঁধটি রক্ষার দাবিতে ইউনিয়নবাসী সোমবার বিকালে বাঁধের উপর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুর কালাম আজাদ জানান, এই সড়ক বাঁধটি সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দরপত্র আহবান করে কার্যাদেশ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত ঠিকাদার কাজ শুরু না করায় বাঁধটি এখন হুমকির মুখে। তিনি বাঁধটি রক্ষায় দ্রুত কাজ শুরুর আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া শুরু হচ্ছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় কোন কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষরা। দিন এনে দিন খাওয়া এসব মানুষ খাবার সংকটে ভোগছে। পুরো চরাঞ্চল পানিতে সয়লাব হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের।

তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বন্যাত্তোদের জন্য দ্বিতীয় দফায় ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার পানিববন্দী মানুষের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের বরাদ্দকৃত এসব ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোশায়েল উল ইসলাম রতন জানান, এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকায় কোন রোগবালাই দেখা দেয়নি। যাতে রোগ ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য ৬৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং তারা এলাকায় কাজ করছেন।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :