ঢাকায় বেড়েছে আফ্রিকানদের আনাগোনা, সতর্ক গোয়েন্দা বিভাগ

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জুলাই ২০১৭, ১২:০৭ | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০১৭, ০৯:৫২

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বেড়েছে বিদেশিদের আনাগোনা। রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশে দেখা যাচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গদের। যাদের অধিকাংশই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। এরা মূলত সুদান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়ার মত অনুন্নত ও শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে থাকা দেশের নাগরিক। চাহিদা, স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত শিক্ষা। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ্যণীয় হারে বাড়ছে এদের সংখ্যা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের হামলার পর বিদেশি মুসলিমদের বিষয়ে বেশ সজাগ বাংলাদেশ। পড়াশোনা করতে এসে কেউ যেন বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারি রয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বিভাগের। তবুও জনমনে রয়েছে আতংক। কৃষ্ণাঙ্গদের বাসা ভাড়া দিতেও আপত্তি দেখা গেছে অনেক বাড়ির মালিকের। এছাড়া তাদের সঙ্গে কথা বলতে অনাগ্রহ রয়েছে প্রতিবেশিদের।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নাইজেরিয়ানরা বন্ধুসুলভ হলেও সোমালিয়ানরা খুব উগ্র মেজাজের। এদের সঙ্গে কথা বলতেও ভয় লাগে।’

ইমিগ্রেশন পুলিশের সিনিয়র এএসপি মুকিত হাসান খান ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘আফ্রিকানদের বিষয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কোনো হুমকি নেই। কারণ বাংলাদেশে আসতে তাদেরকে অনেকগুলো ধাপে নিরীক্ষণ করা হয়। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা পড়াশোনা করবে, কোথায় থাকবে তা আগে থেকেই ঠিক করা হয়। বাংলাদেশে এসে যেনো তারা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে, সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থা প্রত্যেক বিদেশির উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।’

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও, বিভিন্ন সময়ে অনেক আফ্রিকান নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করেছে। এদেশে চাকরি ও ব্যবসায় জড়িয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্য ছিল তাদের। গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যামেরুনের দুই নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এদুজন ছিল হাসান আব্বু ও হোসেন আব্বু। তারা উভয়েই গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা এদেশে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

তবে আফ্রিকাসহ কোনো বিদেশিদের থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই এমনটি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/আরআই/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :