ফ্রিল্যান্সিংয়ে তরুণদের আয় বেড়েছে

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫৪ | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০১৭, ১৭:৩৭

দেশজুড়ে চলছে সরকারের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং শীর্ষক প্রকল্প। এই প্রকল্প থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা ফ্রিংল্যান্সিং শুরু করছেন। দিনদিন তরুণদের আয়ের পরিমান বাড়ছে।

লানিং অ্যান্ড আনির্ং প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে মোট প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ১ হাজার ৬৬৩ জন। এর মধ্যে ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ শেষে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় শুরু করেছেন। দুই বিভাগে তারা আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করেছে ৪৬ হাজার ৭৭০ ডলার বা ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা। ফ্রিল্যান্সারদের ব্যক্তিগত এই আয়ের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে ৫২০ জন, এর মধ্যে সফলভাবে ৩৭০ জন ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করেছেন ২০ হাজার ৪২২ ডলার। বান্দরবানে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ১২০ জনের মধ্যে ২৬ জন আয় করেছেন ৭৪৯ ডলার। কক্সবাজারে ২৫০ জনের মধ্যে জনের মধ্যে ১০৬ জনের আয় ১ হাজার ২৬১ ডলার। লক্ষীপুুরে ১৮০ জনের মধ্যে থেকে ৯৩ জনের আয় ৯৩৬ ডলার।

চাঁদপুরে প্রশিক্ষণ পাওয়া ২০০ জনের মধ্যে ১০৮ জনের আয় ১ হাজার ১৭৮ ডলার। কুমিল্লায় ৪৪০ জনের মধ্যে থেকে ২৬৭ জন আয় করেছেন ৪ হাজার ৬২৭ ডলার। ফেনিতে ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৭ জনের আয় ১ হাজার ৫৭৩ ডলার। খাগড়াছড়িতে ৮০ জনের মধ্যে ৫৩ জনের আয় ৬৮৩ ডলার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৮০ জনে মধ্যে ৮৮ জনের আয় ৩ হাজার ৯০ ডলার। রাঙামাটিতে ১২০ জনের মধ্যে ৭৭ জনের আয় ৩ হাজার ৭৮৪ ডলার। নোয়খালীতে ২০০ জনের মধ্যে থেকে ৪৮ জনের আয় এক হাজার ১০ ডলার। সিলেটে ৩০০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৮৩ ডলার আয় করেছেন ১৬৯ জন। সুনামগঞ্জে ২৮০ জনের মধ্যে ১১৯ জন এক হাজার ২১ ডলার আয় করেছেন। হবিগঞ্জে ২০০ জনের মধ্যে ৮৯ জনের আয় ২ হাজার ২৯৯ ডলার। মৌলভীবাজারে ২০০ জনের মধ্যে ৯৪ জন আয় করেছেন ১ হাজার ২১৭ ডলার ।

লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের চট্টগ্রামের প্রশিক্ষণার্থী আরমান উদ্দিন বলেন, নিজেকে স্বাবলম্বী করতে ৫০ দিনের গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শেষ করেছি। বিভিন্ন অনলাইনে বিভিন্ন ডিজাইনের কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে ২ হাজার ৫০০ ডলারের উপর আয় করেছি।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ২ হাজার ২০০ ডলারের উপর আয় করেছেন বলেন জানান রায়হানা মহিউদ্দিন।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রজš§কে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে ফিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজের উপযুক্ত করে তরুণদের গড়ে তুলতে আমরা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটর করছি। এর সুফলও পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

প্রকল্প পরিচালক মির্জা আলী আশরাফ বলেন, ‘২০১৪ সালে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যে সারাদেশের ৬৪টি জেলায় ৬৫০টি ব্যাচে ১৩ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা