রাস্তা আটকে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি
লোকালয়ে রাস্তার মাঝপথ দিয়ে ছুটছে বিশাল বড় হাতি। সামনে গাড়ি পেলেই শুঁড় দিয়ে জানায় সালাম। শুঁড় বাড়িয়ে দেয় গাড়ির ভেতরে। চালকের কাছে। যতক্ষণ সালামি না আসে ততক্ষণ গাড়ি আটক রাখে হাতি। বখশিশ পেলে হাতির উপরে বসা মাহুতের কাছে শুঁড় দিয়ে পৌঁছে দেয় সালামির এ টাকা। তারপর হাতি এগিয়ে যায় সামনের দিকে।
এভাবে একের পর এক গাড়ি থামিয়ে চলে চাঁদাবাজি! গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌরসদরের বিভিন্ন এলাকায় চলে হাতি দিয়ে টাকা আদায়ের এই খেলা।
গাড়ি থামিয়ে হাতি দিয়ে টাকা আদায়ের এ কৌশলকে চাঁদাবাজি হিসেবেই বলছেন করিমগঞ্জ ছোবহানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফায়জুল মিয়া। তিনি জানান, বাজারসহ মাদ্রাসা এলাকার ব্যস্ততম সড়কে গাড়ি থামিয়ে হাতির মাধ্যমে টাকা আদায় করায় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব অনৈতিক কাজ বন্ধে প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত।
কিরাটন সমিতি এলাকার অটোরিকশা চালক সঞ্জু মিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, হাতি শুঁড় দিয়ে যেভাবে তার গাড়ি আটকিয়েছে তাতে তিনি ভয় পেয়েছিলেন। পরে সালামির টাকা দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে আসেন।
চাঁদাবাজ এ হাতির বিশাল দেহের উপর বসা মাহুত জানান, পুরান ঢাকা থেকে এ হাতি নিয়ে এসেছেন তিনি।
এক পথচারী বলেন, মাহুতের সঙ্গে আরও দুজন লোক রয়েছেন। তবে তারা তাদের সঠিক পরিচয় গোপন রাখছেন।
এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বিষয়টাকে চাঁদাবাজি না বলে জনবিরক্তি কাজ হিসেবে দেখছেন। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)