বরিশালে জনতা ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
হিসাব নবায়নের আবেদনে উৎকোচ দাবি ও জমাকৃত বন্ধকি সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রির হুমকির অভিযোগে জনতা ব্যাংক বরিশাল করপোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার নগরীর পূর্ব বগুড়া রোডের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম মুন্সি বাদী হয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন।
আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- জনতা ব্যাংক বরিশাল করপোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (ক্রেডিট শাখা) আব্দুল রশিদ আকন, সিনিয়র অফিসার (ক্রেডিট শাখা) জাকির হোসেন খান ও সাইফুজ্জামান তালুকদার।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বাদী আমিনুল ইসলাম মুন্সি তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মুন্সি মেডিকেল হলের সম্পত্তি মর্টগেজ রেখে জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ৪০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। প্রতিবছর নবায়ন করার কথা থাকলেও তাতে দুই মাস বিলম্ব হয়।
পরবর্তী সময়ে সিনিয়র অফিসার (ক্রেডিট শাখা) সাইফুজ্জামান তালুকদারের সাথে গত ১৬ এপ্রিল যোগাযোগ করলে তিনি শতকরা ২ ভাগ জরিমানাসহ এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স এর নবায়ন কপি, খাজনা পরিশোধের কপি এবং অনাপত্তিপত্রের জন্য এক হাজার একশ টাকা জমা দিতে বলেন। ওই তারিখেই ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী আমিনুল ইসলাম মুন্সি এক লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ অনাপত্তিপত্র জমা দেন। এরপরও অভিযুক্তরা হিসাব নম্বরটি নবায়ন না করে টালবাহানা শুরু করেন।
গত ১৭ মে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (ক্রেডিট শাখা) আব্দুল রশিদ আকন ও সিনিয়র অফিসার (ক্রেডিট শাখা) জাকির হোসেন খান বাদীর অফিসে গিয়ে হিসাব নবায়নের জন্য দুই লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। এতে অস্বীকার করায় তার জমাকৃত মর্টগেজ সম্পত্তি নিলামে তোলার হুমকি দেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।
পরবর্তী সময়ে গত ২৯ জুন অভিযুক্তরা তার সম্পত্তিতে ক্রেতা নিয়ে গিয়ে পুনরায় দুই লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন এবং টাকা না দিলে সম্পত্তি বিক্রয়সহ খুন-জখমের হুমকি দেন বলে উল্লেখ করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/ব্যুরোপ্রধান/জেবি)