গাইবান্ধায় বন্যা: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

জাভেদ হোসেন, গাইবান্ধা
 | প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০১৭, ০৯:২৯

গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি ঘটছে। জেলা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জসহ চার উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) গৌতম চন্দ্র পাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ নির্দেশ দেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, গত ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে গাইবান্ধা জেলা সদর, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘাঘট নদীর পানি ডেভিট কোম্পানি পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি পয়েন্টে বেড়ে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চার উপজেলায় এ পর্যন্ত লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ওইসব এলাকার রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। ইতোমধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার ৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে বন্যার পানি উঠায় পাঠদান বন্ধ হয়ে পড়েছে। এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ১৩০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। ভাঙনের মুখোমুখি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

এরেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, কয়েকদিনের ভাঙনে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ি, পশ্চিম জিগাবাড়ি, হরিচন্ডি, পাগলারচর এলাকায় ১৩০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। হুমকিতে রয়েছে জিগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিগাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ও জিগাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক।

তিনি বলেন, বন্যার ফলে এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন ত্রাণ পায়নি।

ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হেমায়েত আলী শাহ জানান, ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত ৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে কক্ষে পানি উঠায় ঝানঝাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গলনা কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কটকগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সাঘাটার জুমারবাড়ি থেকে সুন্দরগঞ্জের তারাপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশকিছু এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছেন। চিহ্নিত এলাকাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সাঘাটার বসন্তের পাড়া, গোবিন্দী, ফুলছড়ির রতনপুর, সিংড়িয়া, কাতলামারি, সদর উপজেলার কামারজানি, কাজলঢোপ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছয়ঘড়িয়া, সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :