ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, আটক ৬
রংপুর মহানগরীর আর কে রোড এলাকায় ভিআইপি জেনারেল হাসপাতালে মেধা নামে দুই বছরের শিশুকে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের নার্স, দুই আয়াসহ ছয়জনকে আটক করে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়,গত ৯ জুলাই রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মাহমসুদুল হাসানের এক মাত্র কন্যা মৃধার হার্নিয়া অপারেশন করার জন্য নগরীর আর কে রোড এলাকায় বেসরকারি ভিআইপি জেনারেল হাসপাতালে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও ওই ক্লিনিকের দালাল মর্তুজার প্রলোভনে পড়ে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে শিশু মেধাকে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই ঘণ্টা পরেও অপারেশন শেষ না হওয়ায় স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর কর্তব্যরত নার্স এসে জানান শিশুটি মারা গেছে।
ঘটনার পর অপারেশনকারী চিকিৎসক মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. হিরন্ময় কুমারসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অপারেশন থিয়েটারে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশু মেধার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর স্বজনরা অভিযোগ করেন, হার্নিয়া অপারেশনের নামে শিশুটির দুটি কিডনী বের করে নিয়ে তাকে হত্যা করেছে চিকিৎসকরা।
বুধবার সকালে ওই হাসপাতালে গেলে সেখানে হাসপাতালের দায়িত্বশীল কাউকেই পাওয়া যায়নি।
তবে আয়া মমতাজ বেগম জানান, অপারেশন করার পর শুনলাম শিশুটি মারা গেছে, কিন্তু কিভাবে মারা গেছে তা তিনি জানেন না ।
কর্তব্যরত নার্স সালেহা বেগম জানান রোগীর শরীর থেকে কিডনি বের করার কথা তিনি জানেন না। তবে তার হার্নিয়া অপারেশন করার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল।
এদিকে নিহত শিশু মেধার মা দুলালী বেগম অভিযোগ করেন, ডাক্তার বলেছিল- আধা ঘণ্টা লাগবে অপারেশন করতে, কিন্তু দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পরেও অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করায় আমি ডাক্তারকে বললে তিনি বলেন রোগীকে বাঁচানো গেল না।
তিনি অভিযোগ করেন, তার মেয়ের কিডনি দুটি বের করে হত্যা করা হয়েছে।
শিশু মেধার বাবা মাহমুদ হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে আর কোন মা-বার কোল খালি না হয়।
রংপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, ক্লিনিকের দালাল মর্তুজা নার্স আয়াসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে রেখেছে।
এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/আরআই/এলএ)