বৃষ্টিতে পানি জমে বিপর্যস্ত মোহাম্মদপুর

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ জুলাই ২০১৭, ১৭:১৫ | প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০১৭, ১৭:১৩

গতকাল রাত আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী। ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। তবে বিশেষ করে মোহাম্মাদপুর, আদাবর এলাকার মতন নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে।

ঢাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যে একেবারেই অকার্যকর সেটাই বারবার প্রমাণ হচ্ছে এই মৌসুমি বৃষ্টিতে। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এলাকার মানুষ। কেননা তারা পুরোপুরি পানিবন্দী। বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।

মোহাম্মাদপুরের মোহাম্মাদীয়া হাউজিং, নবোদয় হাউজিং, শেখেরটেক, আদাবর ও কাটাসুর এলাকার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জায়গাগুলোতে কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও বা কোমর পানি। অতিরিক্ত ভোগান্তিতে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা। ভ্যানগাড়ি ও রিকশায় করে পানি পারাপার হতে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।

একজন অভিভাবক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পরীক্ষা না থাকলে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতাম না। সুযোগ পেয়ে তিন থেকে চার গুণ ভাড়া নিচ্ছে রিকশা আর ভ্যানগাড়ি ওয়ালারা।’

এদিকে নগরবাসী এজন্য দায়ী করছেন পানি নিষ্কাশনের জন্য ঢাকা ওয়াসার খালগুলো দখল এবং পরিষ্কার না করাকেই। মোহাম্মাদপুরের রামচন্দ্রপুর খালটি কয়েকদিন আগেও ছিল ময়লার দখলে। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে নাম মাত্র পরিস্কার করা হয়েছে খালটি। এখনো বিভিন্ন জায়গায় স্তূপ হয়ে আছে ময়লা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে খালের অবাধ পানি প্রবাহ।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মোহাম্মাদ মনোয়ার মনে করেন, তার এলাকার খালটি শুধু পরিষ্কার নয় গভীর করে খননেরও প্রয়োজন রয়েছে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি জানি চট্টগ্রামের একই অবস্থা। কিন্তু আমার মনে হয় মোহাম্মাদপুরের পানি নিষ্কাশনের খালটি শুধু পরিস্কার না কিরে, গভীরভাবে খনন করা উচিত। তাহলে পানিটা কম জমবে, আমরাও এতটা ভোগান্তিতে পড়ব না।’

মৌসুমি বৃষ্টিতে এমনই নাজেহাল হতে হয় এসব এলাকার বাসিন্দাদের। ১৫-২০ মিনিটের বৃষ্টিতেই পানি জমে এসব স্থানে। শুধু রাস্তা নয়, বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে এলাকার নিচু বসতবাড়িতে। সুয়ারেজ লাইনের নোংরা পানি ঢুকে পরেছে প্রায় বাড়ির রিজার্ভ টাংকিতে। ফলে বৃষ্টির পানি নেমে গেলেও আগামী কয়েকদিন ভুগতে হবে এখানকার বাসিন্দাদের। বৃষ্টি হলেই প্রতিনিয়ত এমনই ভোগান্তিতে পরতে হয় মোহাম্মাদপুরবাসীকে।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীরাও। মোহাম্মাদীয়া হাউজিং এর খুচরা ব্যবসায়ী মুরাদ বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়া মানে দোকান বন্ধ। আবার চিন্তা হয় কখন না আবার দোকানে পানি ঢুকে।’

এলাকা দীর্ঘ সময় পানিবন্দী হয়ে থাকায় এবং বিভিন্ন বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংকিতে পানি ঢুকায়, পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সকলেই। এলাকার ফার্মেসি ঘুরে জানা গেছে, বৃষ্টি বাড়তেই বেড়েছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন ও বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ওষুধের চাহিদা।

ঢাকাটাইমস/১২ জুলাই/ কারই/ কেএস/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :