বস্ত্রহীন অবস্থায় অন্ধকার ঘরে বন্দী ২০ বছর
ছোট্ট একটি খুপরি ঘর। সূর্যের আলো বড় একটা ঢোকে না সেখানে। তার মধ্যেই ২০ বছর বন্দী হয়ে ছিলেন তিনি। খাবারটুকু পৌঁছে দিতেও সে ঘরের দরজা খোলা হয় না বছরের পর বছর। খাবার, পানি- সবই দেয়া হত ছোট্ট একটি জানালা দিয়ে।
মানসিকভাবে সুস্থ নন। এটাই তার ‘অপরাধ’। সেই কারণে নিজের বাবা-মা ও ভাইদের হাতেই অন্ধকার ছোট্ট একটি ঘরে বন্দী হয়ে থাকতে হল টানা ২০ বছর।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পর্যটন এলাকা গোয়ার কান্দোলিম গ্রামে। এখানকার একটি বাড়ি থেকে সম্প্রতি বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এই পৌঢ়ার বিষয়ে প্রথম জানতে পারে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এক নারী কোনোভাবে ওই প্রৌঢ়ার কথা জানতে পেরে ই-মেইলের মাধ্যমে তা জানিয়েছিলেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। তাকে উদ্ধারের আবেদনও করা হয়েছিল ই-মেইলটিতে। সংগঠনের তরফে এর পরেই পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ়াকে তার দুই ভাই এবং তাদের স্ত্রীরা অন্ধকার ঘরে বন্দী করে রেখেছিলেন। এমনকী খাবার ও পানি দেয়ার জন্যও কখনও ঘরের দরজা খোলা হত না।
নারী পুলিশের একটি দল অতর্কিতেই অভিযান চালায় ওই বাড়িটিতে। পুলিশ যখন দরজা ভেঙে ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করেন তখন তিনি নগ্ন অবস্থায় ছিলেন। তিনি নড়াচড়াও করতে পারছিলেন না বলে জানায় পুলিশ।
পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়, মুম্বাইয়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই প্রৌঢ়ার। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে অন্য নারীর সম্পর্ক থাকায় বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই বাপের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। এই কারণেই অন্ধকার ঘরে তাকে বন্দী করে রাখা হত বলে জানায় প্রৌঢ়ার পরিবার।
উদ্ধার করার পর ওই নারীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নারীর দুই ভাই এবং তাদের স্ত্রীদের গ্রেপ্তার করেছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এসআই)