তাভেল্লা হত্যা: আরও একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিওবিডির কো-অপারেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইতালির নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যা মামলায় আরও এক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
পেশায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন নামে ওই সাক্ষী বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে মামলাটিতে আংশিক সাক্ষ্য দেন। এরপর বিচারক বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে মামলাটির ৭০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কের ফুটপাতে তাভেল্লা সিজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হলেও পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তের অংশ হিসেবে একজন বিদেশিকে হত্যার অংশ হিসেবেই মারা পড়েছেন তাভেল্লা সিজার।
এই ইতালীয় নাগরিক হত্যার পর পুলিশ জানায়, একজন বড় ভাইয়ের নির্দেশে খুন করা হয়েছে তাভেল্লাকে। পরে জানা যায় এই বড় ভাই হলেন বাড্ডার বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম। আর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মিলিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের কথাও জানায় পুলিশ। এদের মধ্যে আছেন কাইয়ুমের ভাই মতিনও। তাকে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী ২০১৬ সালের ২৮ জুন মামলাটিতে কাইয়ুম ও তার ভাই মতিনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অন্য আসামিরা হলেন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল ও শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ‘ভাঙ্গারি সোহেল’।
তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মতিন জামিনে এবং স্বীকারোক্তিকারী চারজন কারাগারে এবং কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/আরজে/এমআর