বনানী ধর্ষণ: সাফাত-নাঈমদের বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ জুলাই ২০১৭, ১৫:৩১ | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৭, ১২:৫৮

জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার দুই বন্ধুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আর এই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে আলোচিত এই মামলাটির বিচারের আনুষ্ঠানিকতা।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সফিউল আজম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।

ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আকবর জানান, আসামিদের মধ্যে সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করা হয়। অপর তিন আসামি সাদমান সাকিফ, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

শুনানির সময় কারাগারে থাকা পাঁচ আসামিকেই আদালতে উপস্থিত করা হয়। আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলে পাবলিক প্রসিকিউটর আসামিদের তা পড়ে শোনান। পরে আসামিদের দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞাসা করলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর আদালত ২৪ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এদিকে অভিযোগ গঠনের পর আসামিদের জামিনের প্রার্থনা করে শুনানি করা হলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

আসামি নাঈম আশরাফের পক্ষে আইনজীবী এবিএম খায়রুল ইসলাম লিটন, সাদমান সাকিবের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার এবং সাফাতসহ অপর দুই আসামীর পক্ষে কাজী নজিবউল্লাহ হিরু ও হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা জামিন ও অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন।

গত ২৮ মার্চ হোটেল রেইনট্রিতে দুই তরুণীকে সাফাতের জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা হয় ৬ মে। এতে বলা হয়, সাফাত ও নাঈম আশরাফ তাদের ধর্ষণ করেছেন, আর বিল্লাল এর ভিডিও ধারণ করেছেন। এছাড়া রহমত আলী দুইজনের বাসায় গিয়ে তাদের হুমকি দিয়েছেন। সাদমানই দুই তরুণীকে সাফাতের হয়ে দাওয়াত করেন।

মামলার এক মাস পর ৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে ধর্ষণে অংশ নেয়া এবং বাকি তিনজনকে সহযোগী বলা হয়। এই মামলায় মোট ৪৭ জনকে সাক্ষী করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তারের পর পাঁচ আসামির মধ্যে রহমত আলী ছাড়া চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে এক মাসেরও বেশি সময় পর মেডিকেল পরীক্ষা হওয়ায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা।

দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা এই মামলার তদন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয় পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) মিজানুর রহমানকে এই কমিটির প্রধান করা হয়। সদস্য হিসেবে ছিলেন ডিএমপির গোয়েন্দা (নর্থ) বিভাগের উপ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ এবং উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপকমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন।

গত ১১ মে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার হন প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফ। ১৫ মে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের ইব্রাহিম হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০ এর একটি দল। একই দিন সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আযাদকে পুরান ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তারও দুই দিন পর ১৭ মে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে নাঈম আশরাফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/আরজে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :