সৌদি ও মিত্রদের কাছে কাতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ নয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৭, ১৪:৪৫

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন এই চার দেশ মিলে তাদের প্রতিবেশী কাতারকে যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এর যথার্থ কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে চলছে নানামুখী প্রচেষ্টা। তারই অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে উপসাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রীদের বৈঠক কোনও ফলাফল ছাড়াই শেষ হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার আবার কাতারে সফরে যাবেন তিনি। কাতারের ওপর সৌদি আরব ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সৃষ্ট পরিস্থিতি অবসানের উপায় বের করাই টিলারসনের মূল লক্ষ্য।

জঙ্গিবাদে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে এরই মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। কিন্তু সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও কাতারকে করা বয়কট তারা জারি রাখবে। কারণ তারা কাতারের ওপর বিশ্বাস বা আস্থা রাখতে পারছেন না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী নোরা আল কাবি এক সাক্ষাতকারে বলেন, এই চুক্তিটিকে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে কাতার দুইবার চুক্তি করে এবং সম্পূরক আরও একটি চুক্তি হয় যেখানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে ঠেকানোর লড়াইয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সবই ছিল মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। কার্যত কিছুই তারা করেনি। তাই আমরা তাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।

তবে এই চুক্তিকে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করে সবকিছু। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া এই এমওইউ অনুসারে কাতারকে সামনের দিনগুলোতে বেশকিছু কাজ ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগ থাকলেও কাতার হামাস বা ইসলামিক স্টেটকে কোন ধরনের সহযোগিতার বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।

সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সফরকালে দোহায় ঘোষিত সমঝোতা স্বারক হচ্ছে সন্ত্রাসবাদমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা বন্ধে এ চার আরব দেশ ও তাদের অংশীদারদের বিগত বছরগুলোর চাপের ফল।

সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ পরিবেশিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তবে এ পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয়। সন্ত্রাসবাদে যেকোন ধরনের অর্থায়ন, সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধের বিষয়ে কাতার কর্তৃপক্ষ কতোটুকু গুরুত্ব দেয় তা তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

আগের চুক্তিগুলোর কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কাতার কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করা যায় না। কেননা, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা আগের প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করেনি।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/জেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ শুক্রবার

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা, কিন্তু কেন?

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী 

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: সিরিয়া কি নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হবে?

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিবে জ্যামাইকা

পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

বিরল সফরে ইরানে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :