ফরিদপুর-শরীয়তপুর এখনো অপটিক্যাল ফাইবারের বাইরে

সাজ্জাদ বাবু, বিশেষ প্রতিনিধি, (এই সময়) ফরিদপুর
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৭, ১৭:৩৪

প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টা ও তার আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম উপপাদ্য অপটিক্যাল ফাইবারের কাজ অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে জনৈক ঠিকাদার শেখ মাসুম। তার গাফিলতির কারণে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার ১১ উপজেলা অপটিক্যাল ফাইবারের আওতায় এখনো আসেনি। দীর্ঘদিনেও কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে গোটা বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ জেলা অপটিক্যাল ফাইবারের আওতায় এলেও বাদ পড়ে রয়েছে জেলা ফরিদপুর ও পাশের জেলা শরীয়তপুর।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন লি. স্কাই লিমিট এন্টারপ্রাইজ জেভি দরপত্রের মাধ্যমে ফরিদপুরের ছয়টি উপজেলাসহ ঢাকা বিভাগের মোট ৬৭টি উপজেলার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনসহ সংযোগের পুরো কাজের আবেদন করে। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি কাজের চুক্তিপত্র গ্রহণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তির পর ছয় মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও নির্ধারিত ২০১৫ সালের ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ফরিদপুর জেলার ছয়টি উপজেলা এবং শরীয়তপুরের পাঁচটি উপজেলার কাজ সমাপ্ত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা সত্বেও দীর্ঘ দুই বছর পার হয়ে গেলেও এসব উপজেলার কাজ আজও সম্পন্ন করতে পারেনি। ফলে ফরিদপুর জেলা ও শরীয়তপুর জেলার উপজেলাগুলো অপটিক্যাল ফাইবারের আওতাধীন হয়নি।

এ ব্যাপারে বিটিসিএলের এমডি মাহফুজ উদ্দীন আহমেদ জানান, ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। এব্যাপারে তাদেরকে অসংখ্যবার চিঠিও দেয়া হয়েছে। তবে আগামী পাঁচ মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উপজেলা অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আমিনুর রহমান বলেন, ২৯০টি উপজেলার মধ্যে ২৪০টি উপজেলার কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোর কাজও দ্রুতগতিতে শেষ করা হচ্ছে। ফরিদপুর এবং শরীয়তপুর জেলার ১১টি উপজেলায় কাজ শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

স্কাই লিমিট এন্টারপ্রাইজের নতুন প্রজেক্ট ম্যানেজার সৈয়দ রেহান আহমেদ বলেন, ফরিদপুর এবং শরীয়তপুর জেলার ১১টি উপজেলার অপটিক্যাল ফাইবারের কাজ আগামী শনিবার শুরু করা হবে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্কাই লিমিট এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শেখ মাসুম জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেননি। এছাড়াও প্রয়োজনীয় পণ্য সময়মত বিটিসিএল তাদের সরবরাহ করতে না পারায় তাদের কাজে বিলম্ব হয়েছে।

তবে নিম্নমানের কাজের বিষয়টিও পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :