নাটোরে ইউপি নির্বাচনে এজেন্টদের বসতে হয়েছে মাটিতে

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৭, ১৯:৩৩

চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার ১১ নম্বর ছাতারদিঘী ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পাওটা এমদাদুল উলুম মাদাসা ভোটকেন্দ্রে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টরা চেয়ার-টেবিলের পরিবর্তে মাটিতেই বসে ভোট ও ভোটার পর্যবেক্ষণ করছেন। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই তাদের মাটিতে মাদুর পেতে বসতে দেয়া হয়। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট এজেন্টরা।

তারা বলছেন, যুগ যুগ ধরে তারা ভোটগ্রহণ দেখে আসছেন- কিন্তু কখনই এজেন্টদের মাটিতে বসতে দেয়া দেখিনি। কোন প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র কম থাকলে কিংবা না থাকলে প্রয়োজনে অন্যত্র থেকে চেয়ার-টেবিল এনে ভোটগ্রহণ করতে দেখা গেছে। অথচ এই উপনির্বাচনের প্রার্থীর এজেন্টদের মাটিতে বসে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। আর এজন্য নির্বাচন অফিস ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলাকে দায়ী করেন তারা।

এদিকে সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকে। যেন ভোটারের চেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যই বেশি।

সরেজমিনে সকাল সাড়ে ৯টার সময় ওই কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, পোলিং অফিসাররা একটি করে হাইবেঞ্চ ও ছিটবেঞ্চ ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। আর পাশেই এজেন্টদের মাটিতে মাদুর পেতে বসতে দেয়া হয়েছে। এতে করে ভোটগ্রহণ ও ভোটার পর্যবেক্ষেণ তাদের অসুবিধা হচ্ছে।

মহিলা বুথের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট রুবিনা বেগম, রহিমা বেগম এবং বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট জেবুন নেছা, জেসমিন জানান, এর আগে কখনও এমনভাবে ভোটগ্রহণ দেখেননি। মাটিতে বসে তাদের সমস্যা হওয়ায় প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

ওই কেন্দ্রে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই মাদরাসায় কোন চেয়ার টেবিল না থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কেবল ভোটগ্রহণের সুবিধা জন্য পোলিং অফিসারদের বসতে দেয়া ভোটার বাক্স রাখার জন্য অন্যত্র থেকে কিছু চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ এনে কাজ করা হচ্ছে। আর এজেন্টদের সমস্যার কথা রিটার্নিং অফিসারকে জানানোর পর তাদের বসার জন্য একটি করে ছিটবেঞ্চ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারাই বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কোন কোন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম। কুমিড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭৬৭ জন আর ভোটগ্রহণ হয়েছে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬২ জন। সেখানে ভোটগ্রহণের হার শতকরা ২৬ ভাগ।

অপরদিকে পাওটা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা মহিলাকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬১৫ জন। সেখানে ভোটগ্রহণ হয়েছে ৫৭০ জন। ভোটার গ্রহণের হার শতকরা ৩৫ ভাগ। একই অবস্থা অন্যান্য কেন্দ্রেও।

সিংড়া উপজেলা রিটার্নিং ও নির্বাচন অফিসার এ এস এম জাকির হোসেন জানান, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। ভোট দেয়ার পর ভোটারদের বেশিক্ষণ কেন্দ্রে অবস্থান করতে না দেয়ার কারণে উপস্থিতি কম বলে মনে হয়েছে। তবে পরে উপস্থিতি বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত সকল কেন্দ্রে গড়ে শতকরা ৩০ ভাগ ভোটগ্রহণ হয়েছে। আর এজেন্টদের মাটিতে বসা প্রসঙ্গে বলেন, পর্যাপ্ত পরিমান বেঞ্চ না পাওয়ার কারণে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সেখানে বসার জন্য বেঞ্চ সরবরাহ করা হয়েছে। গাফিলতির অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :