এমপি তাজুলের বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার জিডি

মাসুদ আলম, কুমিল্লা
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৭, ২১:০৫

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার এবং হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক একজন নেতা।

বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন ফারুক রাজধানীর পল্লবী থানায় এই জিডি করেন।

জিডির তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দিদার হোসেন জিডির সত্যতা ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেন।

তবে জিডিতে সাংসদের ঢাকা ও গ্রামের বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করা হলেও তার সংসদ সদস্য পদের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ফারুক জিডিতে অভিযোগ করেন, সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। এ জন্য তিনি আতঙ্কগ্রস্ত এবং জীবননাশের আশঙ্কা করছেন।

সাংসদ তাজুলের গ্রাম ও ঢাকার ঠিকানা উল্লেখ করে দেলোয়ার হোসেন ফারুক জিডিতে লেখেন, ‘আমার প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে জানতে পারলাম। সে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সক্রিয় সদস্য নিজেকে পেশাদার খুনী দাবী করে নাম অজ্ঞাত রেখে আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলে যে-তাজুল ইসলাম স্যার নির্দেশ দিয়েছে, তুই যদি তাজুল স্যারের পথে কোন বাধা সৃষ্টি করিস তাহলে তোকে খুন করার আদেশ দিয়েছে তাজুল ইসলাম স্যার। তাই, তোকে একটা সুযোগ দিচ্ছি, তাজুল স্যারের পথে কোন বাধা সৃষ্টি করবি না। স্যারের ক্ষমতা এবং টাকা দু’টোই আছে। তোর মতো ছেলে এর আগেও সে হজম করে ফেলেছে।’

যে দুটি মোবাইল ফোন থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে সেগুলোর নম্বর জিডিতে উল্লেখ করেন ফারুক।

জিডিতে এরপর ফারুক লিখেন, ‘এ ঘটনায় আমি মারাত্মœক আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছি এবং স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছি না। যে কোন সময় তাদের দ্বারা আমার জীবননাশসহ জানমালের যে কোন প্রকার গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এই জিডির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি তাকে কোনো ধরনের হুমকি দেইনি।’

জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দিদার হোসেন বলেন, যেকোনো ব্যক্তির আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে। ফারুকের ওই জিডির তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :