ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৭, ২৩:৩২
অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের (বামে) বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন তার সহকর্মী অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন তার সহকর্মী অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ।

ফেইসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগ তুলে বুধবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় এ মামলা করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ৫৭ ধারায় মামলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের এই ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে গত রবিবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এর তিন দিনের মাথায় ওই বিভাগেরই সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন একই বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ।

শাহবাগ থানায় করা ওই মামলায় আবুল মনসুর অভিযোগ করেছেন, ৬৯ জন সদস্য আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক এমন একটি ফেসবুক গ্রুপে ফাহমিদুল হক তাঁর (মনসুরের) বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রগুলো বলছে, বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের বিলম্ব নিয়ে শিক্ষকদের দুই দলের মধ্যে কয়েক দিন ধরেই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলছে। এসব নিয়ে ফাহমিদুল হক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরাগভাজন হন।

মামলার এজাহারে আবুল মনসুর অভিযোগ করেন, ফাহমিদুল হক লিখেছেন, আবুল মনসুরের কারণে মাস্টার্সের ফলাফল দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছে। যে কারণে বিভাগের আরেক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বিপদে ও হয়রানির মধ্যে পড়েছেন এবং বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ কলুষিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফিস ও প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে সামান্য একটি ঘটনাকে জটিল করার বিষয়ে অসামান্য অবদান রাখা এবং শত্রুতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও ফাহমিদুল তাকে (আবুল মনসুরকে) অভিযুক্ত করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গ্রুপে পোস্টটি দেওয়ার পরে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। সব মন্তব্যসহ ১২ পাতার স্ক্রিনশট নীলক্ষেত থেকে প্রিন্ট নিয়ে তিনি মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :