জীবিতকে মৃত দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন, হজে যাওয়া অনিশ্চিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুলিশকে ‘খরচাপাতি’ (ঘুষ) না দেয়ায় জীবিত ব্যক্তিকে মৃত (ইন্তেকাল) দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারণে ওই ব্যক্তির হজে যাওয়া এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর হজে যাওয়ার আশায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে অন্তর্ভুক্তির জন্য একাধিকবার থানা পুলিশের কাছে র্ধণা দিলেও তিনি বিএনপি নেতা বলে কোন সুরাহা হয়নি।
তিনি মো. আজাদ হোসেন ভূইয়া। আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত সাত্তার ভূইয়ার পুত্র তিনি। এ বছর হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন আজাদ হোসেন ভূইয়া। তার পাসপোর্ট নম্বর-বিএন০১১৮০২১, হজের পিআইডি নম্বর-০০৮০২৭২। পুলিশের এ ধরনের প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে ১১ জুন উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করেছেন আজাদ হোসেন ভূইয়া।
মো. আজাদ হোসেন ভূইয়া বলেন, তৎসময়ে আখাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও বর্তমানে কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানায় কর্মরত আবুল কালাম ফোন দিয়ে তাকে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু তিনি জরুরি কাজে ঢাকায় ব্যস্ত থাকায় দেখা করতে পারেনি। কয়েকদিন পর এসআই কালাম ফের মোবাইল ফোনে তাকে জানান, হজে যাওয়ার নিবন্ধনের জন্য পুলিশ প্রতিবেদন দিতে হবে। তাকে থানায় দেখা করে কিছু ‘খরচাপাতি’ দিতে বলেন এসআই কালাম। আজাদ তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এ সময় কালাম বলেন, আপনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সুতরাং ‘খরচাপাতি’ দিতে হবে। উত্তরে আজাদ জানান, ওইসব মামলা থেকে তিনি জামিনে রয়েছেন ‘খরচাপাতি’ দেয়ার কি আছে, তাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান আজাদ।
এতে এসআই কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন,‘খরচাপাতি’ না দিলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয়া যাবে না- এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
আজাদ ভূঁইয়া বলেন, পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তাকে মৃত (ইন্তেকাল) দেখিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম। এতে এ বছর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তিনি খুবই ব্যথিত।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আজাদ ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল কালাম বলেন, আজাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের বিষয়টি আসলে কম্পিউটারের ভুল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কম্পিউটার ভুল করতেই পারে। তবে পরবর্তীতে ভুল সংশোধন করে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া আজাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)