চব্বিশ লাখ টাকা আত্মসাত মামলায় অফিস সহকারী গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় সরকারি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলার পলাতক আসামি এক সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে গ্রেপ্তার কর্মচারী আতিকুল ইসলাম খান নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী।
তিনি পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের ইয়ারন গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিরঞ্জন দেব জানান, নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়কে পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কাছ থেকে ফাঁড়ির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি জানান, মামলা দায়েরের পরপর বিষয়টি জেনে যায় আতিক। সেই থেকে পলাতক ছিল।
এর আগে ৫ জুলাই পূর্বধলা উপজেলার ইউএনও নমিতা দে ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে তিনি অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আতিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি করেন।
মামলার পর ইউএনও নমিতা জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ১২ জুন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আতিকুল ইসলামকে কার্যালয়ের পূর্বধলা সোনালী ব্যাংকে থাকা দুটি অ্যাকাউন্টের স্থিতি সম্পর্কে জানানোর নির্দেশ দেই। কিন্তু বারবার নির্দেশ উপেক্ষা করে তিনি স্থিতি সম্পর্কে কোনো তথ্য দিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ২২ জুন আমি অন্যান্য অফিস সহকারীদের নিয়ে আতিকের কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে অ্যাকাউন্টের স্থিতিতে গড়মিল পাই। এরই প্রেক্ষিতে ২৮ জুন কার্যালয়ের স্মারক অনুযায়ী ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে বিভিন্ন সময়ে তোলা টাকার পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়।
২ জুলাই ম্যানেজার প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে তাতে দেখা যায়, আতিক বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক থেকে সাতটি চেকের মাধ্যমে জালিয়াতি করে অতিরিক্ত ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বধলা উপজেলার তৎকালীন ইউএনও মোহাম্মদ নূর হোসেনের স্বাক্ষর ব্যবহার করে এ জালিয়াতি করেছেন আতিক।
এর প্রেক্ষিতে আতিকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগের বিষয়ে আতিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)