কুড়িগ্রামে সড়ক ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০১৭, ০৯:১৯

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার তীব্র স্রোতে রাজিবপুর উপজেলার বটতলা এলাকায় পাকা সড়কের ১৫ ফুট ধসে গেছে। এতে করে পার্শ্ববর্তী বালিয়ামারী, জালছিড়ার পাড়, মিয়া পাড়া, বটতলা মন্ডলপাড়া ও কলেজপাড়াসহ সাত গ্রামের মানুষের যোগাযোগে দুর্ভোগ বেড়েছে। এসব এলাকার লোকজন পার্শ্ববর্তী সড়ক দিয়ে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে রাজিবপুর উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে।

রাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলম জানান, রাস্তার ধসে যাওয়া অংশে বালির বস্তা ফেলে যোগাযোগ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচরসহ জেলার সাত উপজেলার ৪২ ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ গত আট দিন ধরে পানিবন্দী জীবন যাপন করছে। পানিবন্দী বেশির ভাগ মানুষের ঘরের সঞ্চিত খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন। এছাড়া এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। অনেক বানভাসী পরিবার ঘরের ভেতর উঁচু মাচান বেঁধে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে। চারন ভূমি তলিয়ে থাকায় চরাঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের তীব্র সংকট। বন্যার পাড়ি উঠে পড়ায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসাসহ দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন জানান, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চার হাজার পরিবারের সবাই পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে এক হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। আরও তিন হাজার পরিবার এখনো রিলিফের চাল পায়নি।

বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে চারশ মেট্রিক টন চাল ও ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং চার হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, প্রতিদিনই বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ আসছে এবং আমরা তা পাওয়ার সাথে সাথেই বিতরণ করছি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আগামী রবিবার কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দুই সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ১৭ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :