তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় গৃহবধূকে হত্যা

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৭, ১৫:৩৩ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭, ১৫:৫৩

ইফতেখার রায়হান, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় খুকু মনি নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রথম স্বামী। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় টঙ্গীর বড় দেওড়ার পরান মন্ডলেরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী গৃহবধূর প্রথম স্বামী আবু হানিফ ওরফে কালাচাঁনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

নিহত খুকুমনি নরসিংদী জেলা সদরের ব্রাহ্মনদী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিনি বড় দেওড়া এলাকার মোখলেছের বাড়িতে দ্বিতীয় স্বামী রানার সঙ্গে থাকতেন। আগের সংসারে মারিয়া আক্তার নামের আড়াই বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে খুকু মনির।

নিহতের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, তিন বছর আগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার হাসুয়ারী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে আবু হানিফের সঙ্গে খুকু মনির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে খুকু মনির ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে। পরে মেয়েকে ছাড়িয়ে এনে তিন থেকে চার মাস আগে রাজমিস্ত্রি রানার সঙ্গে বিয়ে দেই।

তিনি আরও জানান, বিয়ের খবর শুনে হানিফ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মেয়েকে ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরই জের ধরে গতকাল খুকু মনি তার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে পরান মন্ডলেরটেক পৌঁছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা হানিফ হোসেন মুখে গামছা পেঁচিয়ে বটি দা দিয়ে উপর্যুপরি খুকু মনির গলা, পেট ও ঘাড়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই খুকু মনির মৃত্যু হয়। পরে আশপাশের লোকজন ঘাতক হানিফকে আটক করে গণধোলাই দেয়।

খবর পেয়ে টঙ্গী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে  ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এবং হানিফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/প্রতিনিধি/জেডএ)