গাইবান্ধায় বন্যার পানি কমলেও তীব্র নদী ভাঙন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০১৭, ১৭:১২

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানির তোরে ভাঙনের মুখে পড়েছে স্থানীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি। ইতোমধ্যে সদরের কামারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ১২ টায় ব্রহ্মপুত্র নদের ফুলছড়ি পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ১২সেন্টিমিটার পানি কমে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ডেভিট কোম্পানিপাড়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপদসীমার ১২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার সকাল ১২ টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘটের পানি ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে করতোয়া ও তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, গত বছরের ৩০ শে জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার কমপক্ষে ২৫ হাজার পরিবার নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এবারো ওই বাঁধটি ব্রহ্মপুত্র নদের পানির চাপে হুমকির মুখে পড়েছে।

তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের যথাযথ নজরদারি নেই। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধটি ভেঙে গেলে জেলা সদরের সঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়বে।

গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, বাঁধের বেশ কিছু জায়গায় ইদুর গর্ত দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে সব গর্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাঁধটি যাতে ভেঙে না যায়, এ ব্যাপারে আমরা সকল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :