গাইবান্ধায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০১৭, ১৭:২৫

সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মে আদিবাসী সাঁওতালদের পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত, আদিবাসী হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর, নির্যাতনের বিচার ও ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ৭ দফা দাবিতে শনিবার বিকাল ৩টায় গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

সমাবেশের পূর্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগ যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সমাবেশে ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাড. জেড.আই খান পান্না, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের উপদেষ্টা ডা. দিবালোক সিংহ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, আইইডির সমন্বয়ক জ্যোতি চট্টপাধ্যায়, জনউদ্যোগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব হাফিজ আদনান রিয়াদ, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন মুকুল, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুর্মু, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ভিমপল্লী ডেভিড রাজু, জাতীয় আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং, আদিবাসী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি খগেন্দ্র হাজং, সিডিএর নির্বাহী পরিচালক শাহ্-ই-মবিন জিন্নাহ্ প্রমুখ।

বক্তরা সাঁওতালদের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোবিন্দগঞ্জের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল, সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, কাটাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিকসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার দাবি করেন।

বক্তরা আরো দাবি করেন, আদিবাসীদের সম্পত্তি সরকারের রিক্যুইজিশন করা এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় এ ধরনের কার্য বাতিল ও পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করে আদিবাসীদের সম্পত্তি ফেরত দিতে হবে। আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং গুলি করে নিহত ও গুরুতর আহত করার সাথে জড়িত উস্কানিদাতা ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিহত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বক্তারা বলেন, গত বছরের ৬ নভেম্বরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসী-বাঙালিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আদিবাসী-বাঙালি নারী-পুরুষের উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের জুলুম ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

তারা বলেন, ১৯৪৮ সালের রিক্যুইজিশন মোতাবেক যে কাজের জন্য (ইক্ষুচাষ) গ্রহণ হয়, তা না করা হলে খেসারতসহ পূর্বমালিক আদিবাসীদের ফেরতের বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। আদিবাসী সাঁওতালদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগকারী চিহ্নিত পুলিশ কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণজমি নিয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে। পরে পুলিশ-র‌্যাব ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এক অভিযান চালিয়ে মিলের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :