আমরণ অনশনে জাবির দুই শিক্ষার্থী

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০১৭, ২২:২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী।

শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অনশন শুরু করেন তারা।

অনশনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০ তম আবর্তনের পূজা বিশ্বাস ও ইংরেজি বিভাগের ৪২ তম আবর্তনের সর্দার জাহিদ।

জানা যায়, শনিবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪২তম ব্যাচের ছাত্র সর্দার জাহিদ একাই অনশনে বসেন। পরে বিকাল চারটার দিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম ব্যাচের ছাত্রী পূজা বিশ্বাস তার সঙ্গে যোগ দেন।

সর্দার জাহিদ বলেন, সামনে আমার ফাইনাল পরীক্ষা কিন্তু মামলার কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছি। ফলে স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না। সামাজিক এবং পারিবারিকভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছি। তাই অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি।

পূজা বিশ্বাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলায় সামাজিক এবং পারিবারিকভাবে আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এসে মামলা প্রত্যাহার করার ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর মাননীয় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের অবগত করেছি। উপাচার্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ক্যাম্পাসের বাহিরে আছেন। উনি আসলে এ বিষয়ে প্রশাসনের বক্তব্য পরিষ্কার করবেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমরা এটি নিয়ে বসব এবং কি করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্তু নেব।

ক্যাম্পাস খোলার পর শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৯ জুলাই মানববন্ধন ও ১১ জুলাই মৌন মিছিল এবং ১৩ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসচাপায় নাজমুল হাসান রানা ও মেহেদী হাসান আরাফাত নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ সড়কসহ সাত দফা দাবিতে পরদিন ২৭ মে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকালে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেটে ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবন থেকে ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় আশুলিয়া পুলিশ। পরে প্রশাসনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :