‘বাসাইলে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা হাস্যকর’

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৭, ১৮:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘আমাকে বাসাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কথা বলাটা হাস্যকর, রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব। আমি বাসাইলের সন্তান। এই বাসাইলেই গত ৬০ বছর আমার বেড়ে উঠা, বিচরণ এবং রাজনীতি। আমি বাসাইলে আমার নিয়মিত কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েই তাদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করবো। এরা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলতে কিছু জানে না, এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার মন্তব্য রাজনৈতিক নোংরামি, রাজনীতিতে নোংরামির কোনো জায়গা নেই।’

শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুঠোফোনে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপি কর্তৃক উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী শহীদুল ইসলামের সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে কটূক্তি ও অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠন এই সভার আয়োজন করে।

গত ১৩ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপির দলীয় ফেসবুক পেজে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাসাইল উপজেলা বিএনপির সদস্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলামের সদস্যপদ স্থগিতের প্রতিবাদে পরদিন কাজী শহীদ এবং তার সমর্থকরা প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

আহমেদ আযম খান বলেন, ‘আজ থেকে সাড়ে তিন বছর আগে বিএনপির দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত হয়ে আজ পর্যন্ত দলের কোনো কাজে আসেননি কাজী শহীদ মুন্সী। বরং বিরোধিতা করে সরকার দলীয় এমপির সঙ্গে আঁতাত করে ভাগ বাটোয়ারায় ব্যস্ত থেকেছেন। এরা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দলের ক্ষতি করে আসছে জেনেই কেন্দ্রীয় বিএনপি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মুনাফিকদের শাস্তির ব্যবস্থা দলের সময়োপযোগী এ সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।’

বিএনপির সভাপতি এনামুল করিম অটলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান, রুহুল আমীন ভুইয়া, ওহিদুল ইসলাম মোস্তফা, উপজেলা যুবদল সভাপতি জুয়েল ভুইয়া, ফুলকী ইউপি বিএনপি ও ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ পিন্টু প্রমূখ।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল করিম অটল তার বক্তব্যে বলেন, ‘কাজী শহীদুল ইসলাম মুন্সী দলীয় ব্যানারে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর বিএনপির সব কর্মকাণ্ডে অসহযোগিতা করে আসছেন। ৯৩ দিনের গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনে একদিনের জন্যও অংশগ্রহণ না করে সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে আন্দোলনে বাধা দিয়েছেন। ইউপি নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন। দলীয় ইফতার মাহফিল বাধা দিয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও দলীয় কাউন্সিলে সরকারের সাথে আঁতাত করে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছেন।’

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)