ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি বিকল, আটকা শত শত যানবাহন

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০১৭, ২০:৩৫

ভোলা-লক্ষীপুর রুটে চলাচলকারী ফেরি বিকল হয়ে যাওয়ায় দুই পাড়ে গত ছয় দিন ধরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক। ঘাটে ২/৩ দিন অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। তিনটি ফেরির স্থলে একটি ফেরি হঠাৎ বিকল হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে চলছে দুইটি ফেরি। এতে দুই পাড়ে কয়েক শত যানবাহন পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। এ কারণে মালবাহী যানবাহনগুলো প্রতি দিন কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুণছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, বর্তমানে কনকচাঁপা ও কুসুমকলি নামক ফেরি দুটি চলছে। এতে ২০টি ট্রাকের বেশি পারাপার করা যায় না। তারপরে এক দুই ট্রিপ শুধু যাত্রীবাহী বাস পারাপার করতে হয়। স্রোতের কারণে একটি ফেরি দুই ট্রিপের বেশি চলাচল করতে পারছে না। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিন রবিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ভোলা-ইলিশা সড়কের ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন চার কিলোমিটার সড়কের একপাশে মালবোঝাই ট্রাক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

পানির নিচে ফেরিঘাটের গ্যাঙওয়ে ডুবে থাকায় যাত্রী ও মালবাহী গাড়ি ওঠানামায় ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীরা নৌকায় দিয়ে ওঠানামা করছে আর মালবাহী ট্রাক ভাটার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠছে।

ট্রাক শ্রমিক মো. মশিউর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, তারা ছয় দিন ধরে ইলিশা ফেরিঘাটে আটকা রয়েছে। তাদের থাকা, খাওয়া, টয়লেট সব টাকার বিনিময়ে করতে হয়। যতদিন আটকে থাকবে ততদিন লোকসান গুণতে হবে।

কমপক্ষে ২০ জন ট্রাকচালক ঢাকাটাইমসকে জানান, গত সাত দিন যাবত ঘাটে বসে থেকে ৩-৪ হাজার বাড়তি টাকা গচ্ছা দিচ্ছেন তারা।

আটকে পড়া চালকরা আরও জানান, বর্তমানে দুটি ফেরি চলছে। এ রুটে চার-পাঁচটি ফেরি দরকার। কারণ এ রুট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহন চলাচল করে। অন্যদিকে ফেরি পারাপার কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। বর্ষায় দুর্যোগের ও শীতে ডুবোচরের সমস্যা হয় চলাচল করতে। ঘাটে প্রয়োজন দুটি লো-ওয়াটার ঘাট ও হাইওয়াটার ঘাট। কিন্তু আছে একটি।

চালকরা বলেন, এ রুট দিয়ে চলাচলে সময় কম লাগার কারণে এ পথে এলেও কর্তৃপক্ষের অলসতার কারণে বেশি সময় লাগছে পারাপার হতে।

যাত্রীরা জানান, মেঘনার চার-পাঁচ ঘণ্টার পারাপারে সবচেয়ে নিরাপদ ফেরি। নিয়মিত ফেরি চলাচল না করায় যাত্রীদের ট্রলারে ও লঞ্চে চলতে বাধ্য হয়। সি-ট্রাকও চলে অনিয়মিত। ফলে দুর্ঘটনার ভয় থাকে।

চলাচলকারী কুসুমকলি ফেরির মাস্টার আবদুল মোক্তাদির ঢাকাটাইমসকে বলেন, মেঘনার তীব্র স্রোতে উপেক্ষা করে ফেরি চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ফেরি বিকল হচ্ছে। স্রোতের কারণে বর্তমানে শুকনো মৌসুমের চেয়ে বেশি সময় যাচ্ছে। এ ছাড়া জোয়ারে দুটি ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে থাকায় গাড়ি উঠা-নামায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিলম্ব হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির ইলিশা ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক আবু আলম হাওলাদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, কিষাণী নামক ফেরিটি দীর্ঘদিন চলাচল করায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় গত ছয় দিন ধরে সেটি নারায়ণগঞ্জ ডক-ইয়ার্ডে আছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আরেকটি ফেরি চেয়ে চিঠি লিখেছেন। সেটি না আসা পর্যন্ত দুই পাড়ে যানজট থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :