তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড ফেরাতে চান এরদোয়ান

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৭, ১১:০৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

তুরস্কে আবার মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার এক বছর পূর্তিতে শনিবার ইস্তানবুলের বসফোরাস সেতুতে হাজারো মানুষের সমাবেশে দেয়া ভাষণে তিনি এই কথা বলেন।

এরদোয়ান বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের সমর্থকদের বিচারের সময়ে গুয়ান্তানামোর মতো পোশাক পরতে হবে। যারা এ ভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিতে চেয়েছিল, তাদের মাথা কেটে দেবে সরকার। কারণ ওই অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রকারীরা ‘বিশ্বাসঘাতক’।

এই রকম ষড়যন্ত্র ঠেকাতেই মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োজন বলে মনে করেন এরদোয়ান।

যদিও এরদোয়ানের এমন মন্তব্যের পর ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-ক্লদ জুনকার বলেন, ‘তুরস্ক যদি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হিসেবে টিকে থাকার পথ নিজেরাই বন্ধ করে দেবে।’

উল্লেখ্য, তুরস্কে ২০০৪ সালে মৃত্যুদণ্ড আইন রদ করা হয়েছিল। এবার সেই আইন আবার ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন এরদোয়ান।

এক বছর আগে এই বসফোরাস সেতুতেই অভ্যুত্থানের চেষ্টায় জড়িত সেনাদের হাতে প্রাণ হারান অন্তত ৩৬ জন। সেদিন সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার সময় ষড়যন্ত্রকারীরা বোমা মেরেছিল পার্লামেন্টেও। সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার সময়ে আঙ্কারা আর ইস্তানবুলের আকাশে ছেয়ে যায় যুদ্ধবিমান। রাস্তায় নামে ট্যাঙ্ক। তবে পথে নেমে সেই অভ্যুত্থান রুখে দেয় সব রাজনৈতিক দল। সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে তারাই চ্যালেঞ্জ জানায় সেনার সেই অংশকে।

তুরস্ক সরকারের দাবি, এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিলেন ফেতুল্লাহ গুলেন নামে এক নির্বাসিত নেতা যিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিবাসী হলেও তুরস্কে অনুগামীর সংখ্যা যথেষ্ট।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার থেকেও ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। সরকারি চাকরি থেকে হাজার হাজার মানুষকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া সরকারি চাকুরে, পুলিশ, সেনা কর্মকর্তা, বিচারক, শিক্ষক এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত লোকজনকে প্রায়ই আটক করা হচ্ছে। তোপের মুখে পড়ছেন দক্ষিণপন্থী সমর্থকরা। গত শুক্রবারই অতিরিক্ত সাত হাজার জনকে বরখাস্ত করেছে তুরস্ক সরকার। দেড়শোরও বেশি সাংবাদিক এখন জেলে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/জেএস)