গরু বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি, গ্রেপ্তার ৬৫

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪২ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭, ১৫:৫৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

স্পেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে অভিযান চালিয়ে গরুর মাংস বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ চক্রের ৬৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশ বাহিনী।

ইউরোপোল জানায়, এই চক্রটি সারা ইউরোপে গরুর মাংসের নামে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করে আসছিল। এসব মাংস মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয়।

ইউরোপের আটটি দেশে প্রায় চার বছর ধরে তদন্তের পর অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হলো।

ইউরোপোলের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৩ সালে আয়ারল্যান্ডে প্রথমে সন্দেহ থেকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল যে, সেখানে আসলে গোমাংসের নামে আসলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। তখন সেখানে ঘোড়ার মাংস দিয়ে তৈরি বিফ বার্গার বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল।

সেই সময়ে এক ব্যবসায়ীর ক্লু নিয়েই এই তদন্তের শুরু। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এও দেখেছেন যে, খুবই বৃদ্ধ ও অসুস্থ ঘোড়াকে বিক্রির জন্যে স্পেন ও পর্তুগালে জবাই করা হচ্ছে এবং বিক্রির জন্যে বেলজিয়ামে পাঠানো হচ্ছে।

এই চক্রের এক হোতা ডাচ ব্যবসায়ী, যিনি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ওই ব্যক্তি স্পেন থেকে বিশ্বস্ত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সারা ইউরোপে ঘোড়ার মাংসের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পশু নির্যাতন, দলিলপত্র জাল করা, জননিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করা, অর্থ পাচার এবং বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা।

স্পেন পুলিশ গত এক বছর ধরে এই তদন্ত চালাচ্ছিল। তাদেরকে সহযোগিতা করেছে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের পুলিশ।

বলা হচ্ছে, যেসব ঘোড়ার খুব খারাপ অবস্থা বা খুব বেশি বয়স হয়ে গেছে, সেগুলোকে গোপনে দুইটি কসাইখানায় জবাই করা হত। তারপর সেই মাংস প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হত বেলজিয়ামে। বেলজিয়ামই ঘোড়ার মাংস রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দেশ। বিভিন্ন অপরাধী গ্রুপের মাধ্যমে এই ব্যবসা পরিচালিত হত। ঘোড়ার মাংসের জন্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে ফ্রান্স ও ইতালি। তবে গরুর মাংসের ব্যবসার তুলনায় এই বাজার খুবই ছোট।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/জেএস)