ফল নিয়ে ছাত্রীনিবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৭, ১৮:৫৪

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসে ফল খাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে একটি পক্ষ।

সোমবার বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছাত্রলীগ নেত্রী এবং ছাত্রীনিবাসের ১ নম্বর ভবনের ২০৪ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্রী শারমিন আক্তার বাদি হয়ে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন মামলাটি আমলে নিয়ে বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ককে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলায় বিবাদীরা হলেন- ছাত্রীনিবাসের ২ নম্বর ভবনের ১০০৫ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্রী হেনা আক্তার, ১০০৮ নম্বর রুমের ঝুমুর আক্তার ও ১০০৫ নম্বর রুমের ফাতেমা আক্তার। তিনজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

আদালতের বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী শাখাওয়াত হোসেন জানান, বাদী ও আসামিরা উভয়েই ছাত্রীনিবাসে থাকেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ‘আসামিরা সন্ত্রাসীদের সাথে আঁতাত করে চলাফেরা করে। বাদীকে তাদের সাথে চলাফেরা এবং অনৈতিক কাজ করতে বললে বাদী সম্মত না হওয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়। বাদীর কাছ থেকে ইতিপূর্বে ৫ হাজার টাকা ধার নেয় আসামি হেনা আক্তার। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। ঘটনার আগের দিন রাতে বাদীকে হুমকি দেয়- তাদের কথায় না চললে রাস্তায় নামলে ওড়না নিয়ে যাবে। ঘটনার দিন গত ১৪ জুলাই সকাল ১১টায় ছাত্রী নিবাসের ২ নম্বর ভবনের সামনে আসামিরা বাদীসহ দুই-তিনজনকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।’ এ সময় বাদীর কাছ থেকে ৮৩ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আদালতে মামলা করা হয় বলে বলা হয়।

পেয়ারা ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে বরিশালের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন ছাত্রী আহত হয় বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/মোআ)