জামালপুরে মাথাপিছু ত্রাণ তিন টাকা ও দুই কেজি চাল

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৭, ২০:৪৯ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭, ১৫:৪২

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জামালপুরে যমুনা নদীর পানি কমে এখন বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের। পানি নেমে যাওয়ায় অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে এখনো চারপাশ অথৈ পানি থাকায় মানুষের চলাচল স্বভাবিক না হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে যে পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে গড়ে ক্ষতিগ্রস্ত একজন মানুষের ভাগে পড়েছে মাত্র তিন টাকা ও দুই কেজি চাল। আর এক ছটাক দানাদার খাদ্যও জুটেনি গবাদি পশুর ভাগ্যে।

সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জামালপুরে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি এবং বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসক আহমেদ কবির সাংবাদিকদের কাছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের ৪৪৭টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এতে দুই লাখ ২৮ হাজার ৮৮০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ৪৫০ মেট্রিক টন চাল, নগদ সাত লাখ ১৫ হাজার টাকা ও ছয় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এতে দেখা যায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একজন মানুষের ভাগ্যে জুটেছে মাত্র তিন টাকা আর দুই কেজি চাল।

বন্যা কবলিত এলাকায় কোনো কাজ না থাকায় আয় নেই শ্রমজীবী মানুষের। আর আয় না থাকায় ঘরে খাবার নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে তা একেবারেই নগণ্য হওয়ায় চরম খাদ্য সংকটের মধ্যে অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বানবাসি এসব মানুষ।

বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে আর দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় সরকারি ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করা হলে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম খাদ্য সংকটে পড়বে বলে মনে করছে বন্যার্তরা।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)