ঢাকা-৯: আ.লীগে আবার সাবের চৌধুরী?
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ আসনে (খিলগাঁও, সবুজবাগ) ১৯৯৬ সাল থেকে লড়ছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হবেন দলের জনপ্রিয় এই নেতা। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বলছেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয়তায় সেখানে আর কোনো বিকল্প তৈরি হয়নি।
সাংসদ সাবের চৌধুরী বর্তমানে বিশ্বের সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশগুলোর সংসদীয় দলের মোর্চা ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট।
সাবের চৌধুরী প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে, তৎকালীন ঢাকা-৬ (বৃহত্তর মতিঝিল-সবুজবাগ) আসনে। সেবার তিনি মন্ত্রিসভার কনিষ্ঠতম সদস্য হিসেবে নৌ পরিবহন উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ছিলেন সাবের চৌধুরী। তার আমলেই ২০০০ সালের জুন মাসে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ এবং টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে বাংলাদেশ। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন এবং বিশ্বক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব তাকে আজীবন সদস্যপদ দেয়া হয়।
১৯৯৬ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিবও ছিলেন সাবের চৌধুরী। ২০০১ সালে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী আন্দোলনে তিনি রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। কয়েকবার তাকে কারাবরণও করতে হয়েছিল।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন পুনর্বন্টনের পর তার নির্বাচনী এলাকাটি হয় ঢাকা-৯ আসন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির শিরিন সুলতানাকে হারান। দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
খিলগাঁও-সবুজবাগসহ এলাকার উন্নয়নে সাবের চৌধুরীর ভূমিকার প্রশংসা আছে এলাকাবাসীর মধ্যে। দীর্ঘ সময় ধরে সংসদ সদস্য থাকাকালেও তার বিরুদ্ধে বলার মতো কোনো অভিযোগ ওঠেনি। বিনয়ী নেতা হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সাবের হোসেন চৌধুরী ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সাবের হোসেন চৌধুরী পান ১৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার আইনসভার স্পিকার ব্রনউইন বিশপ পান ৯৫ ভোট।
সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঢাকা-৯ আসনে সাবের হোসেন চৌধুরীর কোনো বিকল্প নেই। তিনি ক্লিন ইমেজের একজন রাজনীতিবিদ। স্থানীয় জনগণের আস্থা তার প্রতি রয়েছে। এলাকার সব সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন, বিশেষ করে পানীয় জলের অভাব দূর করেছেন।’
চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পরিবারের যে কয়েকজন উঁচু মাপের রাজনীতিবিদ রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম সাবের হোসেন চৌধুরী। ঢাকা-৯ আসনের সব নেতাকর্মী তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন পাবেন এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।’
জানতে চাইলে সাবের হোসেন চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো দেরি আছে। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’
ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/টিএ/ডব্লিউবি