স্কুল-কলেজেও দাবা খেলা পৌঁছাতে হবে

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ জুলাই ২০১৭, ০৮:১০

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে একটি পরিচিত নাম। ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় যাবৎ দাবা কোর্টের সাথে যার নিবিড় যোগাযোগ। খেলেছেন দেশে ও দেশের বাইরে। অর্জন করেছেন নানা পুরস্কার, বাংলাদেশকে করেছেন সম্মানিত। খেলছেন এখনও।

বর্তমান সময়ে বেশ কিছু দাবাড়ু থাকলেও তার সময়কালে প্রায় একাই রাজত্ব করেছেন হাতি, ঘোড়া, মন্ত্রী নিয়ে। ভবিষ্যৎ বাংলা গ্র্যান্ডমাস্টার তৈরি হচ্ছে তারই সন্তান। শেখাচ্ছেন নিজেই।

ঢাকাটাইমস এর সাথে এক আলাপচারিতায় দাবা খেলায় তার অর্জন, অভিজ্ঞতা, প্রতিবন্ধকতা, দাবা ও দাবাড়ুদের একাল-সেকাল, বাংলাদেশে দাবার ভবিষ্যৎ এসব বিষয় তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে ভাল দাবাড়ু তৈরি হওয়ার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কোন কোন দিককে চিহ্নিত করবেন?

আমাদের এখানে টুর্নামেন্ট সংখ্যা খুব কম। খুব কমই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হয়। টুর্নামেন্ট ভেন্যু নেই। শুধু দাবা ফেডারেশনের সেই পুরানো কক্ষের উপর আমরা নির্ভরশীল। বিষয়টা নিয়ে দাবা ফেডারেশন উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু কোনও একটা কারণে উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে খুব বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। তাই বলে যে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না, তা নয়। ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই খেলছেন।

আয়োজনগুলো কেমন হওয়া উচিত?

এই দীর্ঘ সময়ে তো অনেক দেশ দেখলাম। অনেক খেলোয়াড়ের সাথে খেলেছি। সবারই নিয়মিত টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার সুযোগ আছে। আপনি যদি আমাদের পাশে ভারতের দিকে তাকান। ওরা গত পনেরো বছর যাবৎ একই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আসছে। দিন দিন টুর্নামেন্টের সংখ্যা বাড়ছে, কমে যাচ্ছে না।

দাবার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে? কীভাবে এটা বাড়ানো যায়?

হ্যাঁ, অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে। বিষয়টির প্রতি নজর দিতে হবে। তবে, আপনি দেখবেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দাবার প্রচলনটা বেড়েছে। স্কুল-কলেজ পর্যায়েও দাবা খেলাটা পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য যা প্রয়োজন তা হলো, নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন করা। দেশে একটি টুর্নামেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করা গেলে, প্রতি বছর যদি আমরা একাধিক গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট পাই, তাহলে দেশে দাবার মানটা অনেক বাড়বে। ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টের অভাবে মিডিয়া কভারেজও হচ্ছে না।

টুর্নামেন্ট আয়োজন না হওয়ার পেছনের মূল কারণগুলো কী কী?

টুর্নামেন্ট না হওয়ার পেছনে কারণ ওই একটাই। ফেডারেশনের আর্থিক সমস্যা। বর্তমানে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান আমাদের স্পন্সর করছে। তারপরও ফেডারেশন চেষ্টা করছে। এই একটি স্পন্সরের উপর নির্ভর করে, মাঝে মাঝে দু-তিন জন খেলোয়াড়কে টুর্নামেন্টে খেলতে পাঠানো হয়। কিন্তু এটাও সীমাবদ্ধ। কয়েকজন সুযোগ পেলেও, সবাই তো পাচ্ছে না। আমরা অনেকেই নিজের টাকায় খেলছি। কিন্তু সব সময় তো সেটা হয়ে ওঠে না। আমাদেরই বা সামর্থ্য কতটুকু? 'সাইফ পাওয়ার টেক' যেমনি স্পন্সর করছে, তেমনি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যদি স্পন্সর করে তাহলে, নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হবে। দেশে এখন অনেক সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে। স্পন্সর পেলে তারাও আন্তর্জাতিক ক্লাসে খেলবে।

এই সুদীর্ঘ ক্রীড়া জীবনে তো অনেক প্রাপ্তি, অভিজ্ঞতা, ভালোলাগা আছে। শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে কোনটাকে তুলে ধরবেন?

গ্র্যান্ডমাস্টার টাইটেলটাই আমি শ্রেষ্ঠ মনে করি। এছাড়া বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেকনাজ কার্লসেল এর সাথে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার সাথে ড্র করেছি। ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জার নাইজার শট কে হারিয়েছি। এগুলোকে বড় অভিজ্ঞতা বলেই মনে করি।

আপনাকে ধন্যবাদ।

ঢাকাটাইমসকেও ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/কারই/কেএস/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে মুস্তাফিজের খেলা নিয়ে যা জানাল বিসিবি

যে কারণে বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে নেই সাকিব-মুস্তাফিজ

আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে যুক্ত হলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার মোর্শেদ

বড় চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে হারমানপ্রীত-স্মৃতি মানদানারা

তীব্র গরমে ফ্লাডলাইটে ফুটবল ম্যাচের সিদ্ধান্ত

জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সুনীল নারিন

 হাথুরুর সঙ্গে নির্বাচকদের বৈঠক সম্পন্ন, আলোচনা হলো যা নিয়ে

মুস্তাফিজের আইপিএল ছাড়া নিয়ে যা বললেন চেন্নাই কোচ

ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :