গাছে বেঁধে গৃহবধূ নির্যাতন: গ্রেপ্তার ৮
গরু চুরির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার কাজলী বেগম নয়জনকে অভিযুক্ত করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের আহাদ আলী শেখের ছেলে আইয়ুব আলী, তার স্ত্রী মাহিরন নেছা, ছেলে রাজু ওরফে উকিল, আবুলের ছেলে বাচ্চু, সেকেন্দার আলীর ছেলে হাসান, নয়েশ আলীর ছেলে সাহেব আলী, বাবুলের ছেলে সেতু, কাজিরুলের ছেলে ফয়সাল অ
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলামের দুটি গরু চুরি হয়।এ ঘটনায় সন্দেহ করা হয় একই গ্রামের তরল আলীকে। সিরাজুল ইসলামের স্বজনরা তরল আলীকে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী কাজলী বেগমকে নিযাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে নির্যাতন করা হয়। তরল আলীর বাড়িঘরও ভাঙচুর করে আাসামিরা।
কাজলী বেগম জানান, গরু চুরির অভিযোগে গ্রামের সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে সেতু, ফয়সলসহ ১০ থেকে ১২ জন মিলে আমার ওপর নির্যাতন শুরু করে। পরে একটি আম গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় যাতে মামলা না করি সেজন্য আমার পরিবারকে হুমকি দেয়া হয় বলে জানান কাজলী বেগম।
রবিবার রাতে গৃহবধূর নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা জুড়ে।
সোমবার সকালেই পুলিশের ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল গোবিন্দহুদা গ্রাম পরিদর্শন করেন। এরপর পুলিশের আশ্বাস পেয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ দামুড়হুদা মডেল থানায় নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন ঢাকাটাইমসকে জানান, প্রকাশ্যে এক জন নারীকে নির্যাতন আইনের চরম লংঘন। এ ঘটনায় মামলা পর অভিযুক্ত নয় জনের মধ্যে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/প্রতিনিধি/জেডএ)