রাতে ওত পেতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জুলাই ২০১৭, ১১:১৯ | প্রকাশিত : ১৮ জুলাই ২০১৭, ২২:৩৪

রাতে ওত পেতে থেকে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে আবারও আলোচনায় এলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন। এ সময় বরের বাবা তাকে কনেপক্ষের লোক ভেবে মিষ্টির প্যাকেট হাতে তুলে দেন। মিষ্টির প্যাকেট পেয়েও বেরসিক ইউএনও নিজের পরিচয় দিয়ে বরের বাবাকে আটক করেন। পরে বাল্য বিয়ে না করানোর ব্যাপারে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রাজবাড়ি ফলিরচালা গ্রামে।

জানা গেছে, সোমবার রাতে রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাজাবাড়ি ফলিরচালা গ্রামের আলমগীর হোসের মেয়ে আঁখি ওরফে পুতুলের সঙ্গে এ উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের চিতেশ্বরী গ্রামের রহিজ উদ্দিনের ছেলে ছানোয়ারের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। রাতে গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়। তবে ইউএনও ইসরাত সাদমীন বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে রাতে মেয়ের বাড়ির সামনে গোপনে দাঁড়িয়ে থাকেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বর ও বরের বাবাসহ ৭/৮ জন কনের জিনিসপত্র বহনের ব্রিফকেস ও মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে মেয়ের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছান। বাড়ির সামনে ইউএনওসহ সঙ্গীদের দেখে বরের বাবা ভুল করে ইউএনওকে কনেপক্ষের লোক ভেবে মিষ্টির প্যাকেট তার হাতে তুলে দেন এবং সালাম দিয়ে কুশল জিজ্ঞেস করেন। এ সময় ইউএনও তার পরিচয় দেন এবং বাল্য বিয়ে করানোর অভিযোগে তাদের আটক করে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় দৌড়ে বর পালিয়ে যান। পরে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা দিলে বরের বাবাসহ অন্যরা ছাড়া পান।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাল্যবিয়ে বন্ধে সব স্তরের নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।’

প্রসঙ্গত, মির্জাপুরের আলোচিত এই ইউএনও এর আগেও বিভিন্ন কৌশলে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :