স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হচ্ছে ২৫০ ফুট বাঁশের সাঁকো

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর)
 | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০১৭, ০৮:২৯

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা গ্রামের তারকশাহার হাট এলাকার ইছমতি নদীর উপরে স্থানীয় এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫০ ফুট বাঁশের সাঁকো। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আইজার রহমানের তত্ত্বাবধানে এই সাঁকোটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

এপারে আলোকডিহি ওপারে সাতনালা। দুই ইউনিয়নের মাঝে ইছামতি নদী। দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে এ নদীই বাধা। এ বাধা দূর করতে গ্রামবাসী নিজেরাই টাকা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করছেন এ বাঁশের সাঁকো। এটি নির্মাণের ফলে দুই ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের আনুমানিক ১০ হাজার লোক এই সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করবেন।

এদিকে এই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ না হলে ওই পাঁচ গ্রামের মানুষকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে ঘাটেরপাড় কলেজ মোড় সেতু দিয়ে চলাচল করতে হয়। অথচ এই দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থল পাঁচ মিনিটের পথ বাঁশের সাঁকো পার হলেই তারকশাহার হাটসহ আলোকডিহি ইউনিয়ন থেকে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদে সহজেই যাতায়াত করা যায়।

সাতনালা ইউপি পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ সাঁকো দিয়ে এলাকার বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, মডেল স্কুল, ইছামতি ডিগ্রি কলেজ, ইছামতি ফাজিল মাদ্রাসা, রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারসহ পাঁচ গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবারের আনুমানিক ১০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকে লেনদেন, বাজারঘাটসহ প্রতিটি কাজে চলাচল করতে হয়। ইছামতি নদীর ওপর এ বাঁশের সাঁকোটি তাদের ভরসা।

স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণকারী আইনউদ্দিন, হাবিবুর, জাহাঙ্গীর, নিমাই চন্দ্র ঢাকাটাইমসকে জানান, নিজেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও আর্থিক সহযোগিতায় তারা ২০ দিন ধরে অর্ধশতাধিক মানুষ মিলে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করছেন। এর ফলে এলাকার মানুষের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে মনে করেন তারা।

ইউপি সদস্য মো. আইজার রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ার দীর্ঘ ২০ বছর পরে জনদুর্ভোগ লাঘবে আবার স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে তা নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, নির্মাণাধীন বাঁশের সাঁকোর জন্য আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আহসানুল হক মুকুল।

সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, জনগণের নিজেদের উদ্যোগেই এই সাঁকোটি নির্মিত হচ্ছে। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো অর্থায়ন করা সম্ভব হয়নি। কেননা, এ খাতে কোনো বরাদ্দ নেই। তবে চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে স্বাগত জানিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজের প্রেরণা জুগিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :