এসিসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা তদন্তের নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০১৭, ১৪:০৮

ডেমরা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলাম ও ১২ পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলা তদন্ত করতে রাজধানীর ওয়ারী জোনের ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম এ আদেশ দেন।

গত ১২ জুলাই মিসেস শাহনা আক্তার নামে এক নারী এ মামলা করেন। ওইদিন বিচারক বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, এসআই জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষীকান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কেএম এনায়েত হোসেন, এএসআই আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমন।

মামলায় বাদিনীর অভিযোগ, তার স্বামী ফরমান উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ, পেশাদার মাদকব্যবসায়ী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে দেখতে পান। এরপর গত ৫ মে, গত ৮ জুন ও গত ১৬ জুন ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ওই সংক্রান্ত পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে আসামিরা তাকে ফোন করে থানায় নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। তা না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুকি দেয়া হয়। এরপর গত ২১ জুন বাদীর স্বামীকে ওয়ারী থানাধীন রাজধানী সুপার মার্কেট থেকে আসামিরা তাকে টেনে হিঁছড়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। বাদী ওয়ারী জোনের ডিসি ফরিদকে বিষয়টি জানালে তিনি আসামি ইফতেখারুলকে ফোন করে তাকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং বাদীকে থানায় গিয়ে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে বলেন।

বাদিনী থানায় গেলে আসামি ইফতেখারুল ডিসি ফরিদকে গালিগালাজ করে নিজেকে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের মেয়ের জামাই পরিচয় দেন এবং বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চর-থাপ্পড় মারেন। ওই সময় বাদী তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলে ইফতেখারুল তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর বাদী তাদের দুই লাখ টাকা দেন।

এর আগেই আসামিরা বাদীর স্বামীকে মারধর করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বাদী সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামীকে মাদকের তিনটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাদীর স্বামী কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাদী মামলার বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করেন, তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাদী আদালতে মামলাটি করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/আরজে/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :