বৃষ্টিতে বাগেরহাটে জলাবদ্ধতা, মংলায় পণ্য ওঠানামায় বিঘ্ন

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুলাই ২০১৭, ১৩:১৩
ফাইল ছবি

বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌর শহরসহ জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি ও প্রবল বর্ষণের কারণে প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। অন্যদিনের তুলনায় রাস্তাঘাটে যানবাহনও কম চলাচল করছে। বৃষ্টিতে মংলা বন্দরে জাহাজে পণ্য উঠানামার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।

পৌরসভায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ পৌরসভার বাসিন্দাদের। তবে এই জলাবদ্ধতায় ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌরসভার নিচু এলাকা বাসাবাটি, খারদ্বার, সাহাপাড়া, মেইনরোড, সাধনার মোড়, পুরাতন বাজার, হাড়িখালি ও পোস্ট অফিস পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এছাড়া জেলার ফকিরহাট, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মংলা ও রামপাল উপজেলার নিন্মাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ওয়ালিউল্লাহ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাটাইমসকে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। মংলা বন্দরে বর্তমানের সার, ক্লিংকার, যন্ত্রাংশসহ ছয়টি জাহাজ অবস্থান করছে। আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে তিন নাম্বার সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দরে থাকা জাহাজে মালামাল ওঠানামার কাছে বিঘœ হচ্ছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী খালে থাকা মাছ ধরার জেলে নৌকাগুলোকে নিরাপদে থেকে মাছ ধরতে বলা হয়েছে।

বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় পাল ও সুমন কোটাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমাদের বাসাবাটি এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। এতে আমাদের চলাচলে দারুণ অসুবিধা হয়। তাই আমাদের এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি করা ড্রেনগুলো প্রশস্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, বাগেরহাট পৌরসভার ড্রেনের পানি নামে ভৈরব নদী দিয়ে সেই নদীতে বর্তমানে জোয়ারের পানির প্রবল চাপ। তাই শহরের ড্রেন দিয়ে পানি নামতে না পারায় বৃষ্টির পানিতে নিচু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ারের পানি নেমে গেলে নদী দিয়ে বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিও নেমে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আফতাব উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিতে জেলার বেশকিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠে বর্তমানে আমন ধানের বীজতলা রয়েছে। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আমন বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :