ইউএনও সাদমীনের আরেক চমক

জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
 | প্রকাশিত : ২০ জুলাই ২০১৭, ১৬:৫৯

প্রায়ই সংবাদ শিরোনাম হয়ে আসছেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন। বাল্যবিয়ে ঠেকানো, অসহায় নারীর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার উদাহরণ তার ভুরি ভুরি। এবার উপজেলার ১৭০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে গাছের চারা রোপন করা হলো তার উদ্যোগে। সেই সঙ্গে চালানো হয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে ১৭০ স্কুলে একযোগে বপন করা হল সহাস্রাধিক গাছের চারা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই মিলে পরিস্কার করলেন ক্লাসরুম আর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণসহ আশপাশ।

ওইদিন সকালে উপজলা সদরের সরিষাদাইড় সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ইউএনও ইসরাত সাদমীন।

এরপর সাদমীন পোস্টকামুরি গ্রামে আলহাজ শফি উদ্দীন মিঞা ও বাইমহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলা কর্মসূচিতেও যোগ দেন। এ সময় উপজলো শিক্ষা কর্মকর্তা খলিলুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও সাদমীন বলেন, ‘ময়লা আবর্জনা থেকে মশার উৎপত্তি হয়ে থাকে। মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় সারাদেশে এই সময়টাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বৃক্ষ নিধনের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের দেশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের মধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ধারণা দেয়া ও বৃক্ষরোপনে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে সমগ্র দেশেই একটা বিরাট পরিবর্তন হয়ে যাবে। কারণ আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত।’

আলহাজ শফি উদ্দিন মিঞা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিকা আফরিন ও বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র জিসান হোসেন আলভী জানায়, বিদ্যালয়ে মাঠে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়ে অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে। এছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠ ও আশপাশে নানা ধরনের আগাছা জন্মায়। তাছাড়া টুকরো কাগজ, পলিথিনসহ নানা কিছু পড়ে ময়লা হয়ে থাকে। এতে বিদ্যালয় ও মাঠ নোংরা দেখা যায়। সেখান থেকে মশার উৎপত্তি পাশাপাশি নানা ধরনের অসুখ বিসুখ ছড়ায়।

আলভী বলে, ‘আজকে আামদের মা-বাবা, ম্যাডমসহ সবাই মিলে আমাদের খেলার মাঠ ও আশপাশ পরিস্কার করলাম। এতে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ’

ভাওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল মামুন বলেন, ‘ইউএনও স্যারের নেয়া একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়ায় সমগ্র উপজেলায় একটা বিরাট পরর্বিতন হয়ে গেল।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে সাতটি ফলজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়েছে।’

বুধবার কর্মসূচি বাস্তবায়নের পর বৃহস্পতিবার উপজেলার বাইমহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন বলেন, যে কোন সুন্দর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে আমাদের সমাজ জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। সেই চিন্তা থেকেই তার এই কর্মসূচি হাতে নেয়া। বাস্তবায়ন করতে পেরে খুব ভাল লাগছে।

ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :