নেত্রকোণায় সন্তান হত্যায় বাবার সাত বছর জেল

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুলাই ২০১৭, ২২:৩৩

নেত্রকোণায় আট বছরের শিশু সন্তান হত্যায় নবী হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে হত্যায় সহায়তা করার দায়ে আরো দুইজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে নেত্রকোণা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- শিশুটির বাবা ময়মনসিংহ সদরের বীরবাওলা গ্রামের বাসিন্দা নবী হোসেন (৫৫)। অপর দুই জন হচ্ছেন- নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের কোনাডহর গ্রামের ইসহাক মিয়া (৩৫) ও সবুজ মিয়া (৩৮)। এরা পরস্পর আত্মীয়। রায়ের সময় নবী হোসেন ছাড়া বাকি দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, নবী হোসেন ২৭ বছর আগে পূর্বধলা উপজেলার কোনাডহর গ্রামের আয়েশা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের চারটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। ২০১২ সালের মে মাসে দাম্পত্য কলহের কারণে তাদের মধ্যে সাময়িক বিচ্ছেদ ঘটে। এ সময় ছোট দুই শিশু আব্দুর সালাম (১০) ও রোকসানা খাতুন (৮) বাবার কাছে থেকে যায়। পরে একই বছরের ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই দুই সন্তানদের নিয়ে নবী হোসেন কোনাডহর গ্রামে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে আসেন। কিন্তু আয়েশা রাজি হননি। পরে সেই দিনই সন্তানদের নিয়ে একই গ্রামে নবী হোসেন তার এক আত্মীয় ইসহাক মিয়ার বাড়িতে থাকেন। রাত ১০টার দিকে রোকসানা মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্না শুরু করে। তখন নবী হোসেন কান্না থামাতে গিয়ে রাগের মাথায় গলা টিপে ধরেন। এতে শিশুটির শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায়। এর পর ইসহাক মিয়া ও তার ভাই সবুজ মিয়ার সহায়তায় শিশুটির মৃতদেহ চাদর দিয়ে মুড়িয়ে পাশের বাড়ির মোকশেদ আলীর জঙ্গলে মাটি চাপা দেয়। পর দিন সকালে নবী হোসেন ছেলে সালামকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। চারদিন পর মেয়ের সন্ধান জানতে চাইলে নবী হোসেন তার স্ত্রীকে জানান শিশুটিকে তিনি ইসহাকের বাড়িতে রেখে এসেছেন। এর পর ইসহাক আয়েশা খাতুনকে সব কিছু বলে দেন। ওই দিন ১০ ডিসেম্বর আয়েশা খাতুন পূর্বধলা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মামলায় সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমল। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শাহজাহান রেজাউল করিম ও পূরবী কুণ্ডু।

(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :