খামারবাড়ির মেলায় মিলছে জ্যান্ত মাছ
রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে চলছে চারদিন ব্যাপি মাছের মেলা। মেলায় বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখার পাশাপাশি কেনাও যাবে। মিলছে নদী ও পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির জ্যান্ত মাছ। রয়েছে সামুদ্রিক মাছ।
বৃহস্পতিবার বিকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ মেলার উদ্ভোধন করেন।
প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যস্ত চলবে এ মেলা। ২০ থেকে ২৪ জুলাই চলবে এ মেলা। মেলায় প্রবেশে কোনো ঢাকা লাগবে না।
এবারে মৎস সপ্তাহ ২০১৭ এর প্রতিপাদ্য ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ বদলে দেব বাংলাদেশ।’
মেলায় মাছের উন্নত জাত, সুষম খাদ্য, বদ্ধ ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষ, খাঁচায় মাছ চাষ, কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষ, রেনু উৎপাদনসহ মাছের উৎপাদন, চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণের নানান কলা-কৌশল দেখানো হচ্ছে।
মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগও তুলে ধরা হচ্ছে এই আয়োজনে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, কেবল মাছ চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তিই নয়, মাছের খাদ্য, ফরমালিনমুক্ত বিভিন্ন মাছ ও পদ্ধতিগতভাবে সংরক্ষণ করা মাছের বিভিন্ন আইটেম বিক্রি হচ্ছে মেলায়।
সামুদ্রিক দারকুডা, পটকা, নুইলা, উড়াল মাছ, ডলফিন ও ঈগল মাছও পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। এছাড়া নদ-নদী ও পুকুরের জ্যান্ত মাছ মিলছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাছে-ভাতে বাঙালি বলা হতো। সেই দিন আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, ‘প্রতিদিন এক জন মানুষের ৫৬ গ্রাম মাছ খাওয়া প্রয়োজন। সে হিসেবে আমাদের ৪২ থেকে ৪৩ লাখ মেট্রিকটন মাছের প্রয়োজন। আমাদের এখন উৎপাদন ৪০ লাখ মেট্রিকটন। ২০১৮ সালে আমাদের মাছের চাহিদা পুরোপুরি পূরণ করতে পারবো।’
মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘আমাদের গত অর্থবছরে চার হাজার দুই শত ৭০ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এই খাতে প্রায় ৪২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
সৈয়দ আরিফ আজাদ তিনি বলেন,‘ এখানে এসে মাছ মাছ দেখার সঙ্গে কেনাও যাবে। ২৯টি প্রতিষ্ঠান ৪০ স্টল নিয়েছে মেলায়। সন্তানকে মাছ চেনাতে হলেও মেলায় আসুন।
(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/জেআর/জেডএ)