খুলনায় দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
বাগেরহাটে দুই কলেজ শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে খুলনা মেডিকেল কলেজের কর্মচারী দুলাল হাওলাদার ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুই শিক্ষার্থীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মেডিকেল কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারে দুলালের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারসহ জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন- তাওহিদুল ইসলাম নয়ন ও রুবেল। তারা মোড়েলগঞ্জের বাসিন্দা। এই চক্রটি দুই কলেজ শিক্ষার্থীকে র্যাব পরিচয়ে আটকে রেখেছিল।
উদ্ধার হওয়া আল শাহরিয়ার খুলনা সিটি কলেজ এবং সাবিনা আফরিন খুলনা কমার্স কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোচিং করছেন।
এ ঘটনায় সাবিনা আফরিন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে জিয়ানগর পিরোজপুরের বাসিন্দা আ. সামাদ শেখের মেয়ে সাবিনা আফরিন ও খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেতকাশি এলাকার বিএস আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে আল শাহরিয়ার বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজারে ঘুরতে যান। এসময় বাগেরহাট বাসটার্মিনালে তাদেরকে তাওহিদুল ইসলাম ওরফে নয়ন ও রুবেল খান র্যাব পরিচয় দিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। এরপর তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের ৩/সি কুক মশালচী মো. দুলাল হাওলাদারের বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের জন্য চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে শাহরিয়ার তাদেরকে টাকা দিতে রাজি হয়ে ব্যবস্থা করার জন্য কিছু সময়ের জন্য বাইরে যেতে চায়। তারা শাহরিয়ারকে বাইরে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিলে শাহরিয়ার ঘটনাটি সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ তাৎক্ষাণিকভাবে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার ও ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক ঢাকাটাইমসকে জানান, খবর পাওয়া মাত্রই দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অপরহণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/প্রতিনিধি/জেডএ)