জিপিএ-ফাইভ কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে জিপিএ-ফাইভের সংখ্যাও। এবার জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। আগের বছর পেয়েছিল ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় জিপিএ-ফাইভ কমেছে ২০ হাজার ৩০৭ জন। শতকরা হিসাবে এই হার এই হিসেবে কমার হার ৩৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
রবিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চলতি বছরের মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর মন্ত্রী ফলাফলের সার্বিক চিত্র সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রীর তুলে ধরা ফলাফল অনুযায়ী জিপিএ ফাইভ সবচেয়ে বেশি কমেছে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। গতবারের তুলনায় অর্ধেকও জিপিএ ফাইভ পায়নি এসব প্রতিষ্ঠানে। কলেজগুলোতেও তিন ভাগের এক ভাগ এবং মাদ্রাসাগুলোতে চার ভাগের এক ভাগ কমেছে জিপিএ ফাইভ।
১০ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার হয়েছে ৬৮.৯১ শতাংশ। যা আগের বছর ছিল ৭৪.৭০ শতাংশ। এই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ৫.৭ শতাংশ। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, খাতা দেখায় কড়াকড়ি ও মূল্যায়ন পদ্ধতি পাল্টানোয় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এবার আট সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার পাসের গড় হার ৬৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এইচএসসিতে জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন। গতবার পেয়েছিল ৪৮ হাজার ৯৫০ জন। অর্থাৎ আট শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ ফাইভ কম পেয়েছে ১৫ হাজার ৭০৮ জন। শতকরা হিসাবে যা দাঁড়ায় ৩২.০৮ শতাংশ।
মাদ্রাসা ও কারিগরিতেও গতবারের তুলনায় খারাপ ফল দেখা যাচ্ছে। মাদ্রাসা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ বোর্ডে ১১ শতাংশের বেশি পাসের হার কমেছে। এখানে জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে ১ হাজার ৮১৫ জন। গতবার পেয়েছিল দুই হাজার ৪১৪ জন। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে সংখ্যায় ৫৯৯ এবং শতকরা হারে ২৪ শতাংশ কমেছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এখানে জিপিএ-ফাইভ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৯ জন। অথচ গতবার পেয়েছিল ৬ হাজার ৫৮৭ জন।
অর্থাৎ জিপিএ ফাইভ সবচেয়ে বেশি কমেছে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে। সংখ্যায় এটি তিন হাজার ৯১৮ এবং শতকরা হিসাবে ৫৯.৪৮ শতাংশ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে মোবাইলে ফলাফল জানা যাচ্ছে। ২৪ থেকে ৩০ জুলাই ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আগের মতোই নির্ধারিত পদ্ধতিতে টেলিটক থেকে আবেদন করতে হবে।
গত ২ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ মে এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। এরপর ১৬ থেকে ২৫ মে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবার আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এবার মোট ১১ লাখ ৬৩ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/টিএমএইচ/ডব্লিউবি