পঙ্গু হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে ১৮ জনের জেল
জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি ও নিম্নমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানোর অভিযোগে ১৮ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে আসা রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আশপাশের বেসরকারি নিম্নমানের ক্লিনিকে একশ্রেণির দালাল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ আছে। এর ফলে সরকারি হাসপাতাল থেকে মানুষকে সেবা বঞ্চিত করে এসব দালাল চক্র বেসরকারি হাসপাতালে থেকে কমিশন পায়। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এক ধরনের কর্মচারীও এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ আছে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ দুপুর ১২টার দিকে র্যাব-১ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে ১৮ দালালকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছয়জনকে এক মাসের কারাদণ্ড, একজনকে ২০ দিনের, তিন জনকে ১৫ দিনের, একজনকে ১০ দিনের, ছয়জনকে সাত দিনের, এবং একজনকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আযম। গ্রেপ্তারদের মধ্যে শাহানা আগেও এমন কাজের জন্য ১৫ দিন এবং হাবিব ১০ দিন জেল খেটেছিল। শুধু তাই নয়, একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক তার দুই জন কর্মচারীকে নিয়ে হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেয়ার কাজ করছিল। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে লোক ছাড়াও কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা বিভিন্ন কৌশলে এ কাজে নিয়োজিত।
ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এএ/এমআর