শতভাগ ফেল: ৭২ কলেজের ২৭টিই দুই জেলায়

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০১৭, ২০:৫৩

এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করা ৭২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টি কলেজই দুই জেলায় অবস্থিত। এরমধ্যে দিনাজপুরের ১৬টি এবং রাজশাহীর ১১টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি।

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি-এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। এবার ৭২টি কলেজ, মাদ্রাসা ও ভোকেশনাল কলেজে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি। যা গত বছর ছিল ২৫টি।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

দিনাজপুর: দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে শতভাগ ফেল করেছে ১৬টি কলেজ। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কেউ। ফল বিপর্যয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। মিডিয়ার কাছেও মুখ খুলছেন না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান জানিয়েছেন, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী মহিলা কলেজ, কামলার পাড়া কলেজ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শোভাগঞ্জ মহিলা মডেল কলেজ, নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ কলেজ, কুড়িগ্রাম উলিপুরের থেতরাই এ জে কলেজ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দোলডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লালমনিরহাট আদিদমারী উপজেলার কুমরিরহাট এস সি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নামুরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মহিষাহার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কালিগঞ্জ উপজেলার বারাজান নয়া কলেজ, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই বগুলাবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার বেপারী তলা আদর্শ কলেজ, রংপুর পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর কলেজ, পীরগঞ্জ উপজেলার মহিয়সী বেগম রোকেয়া কলেজ এবং মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

রাজশাহীর ১১ কলেজে শতভাগ ফেল

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ১১টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি। অবশ্য এই ১১ কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৯ জন। এর মধ্যে একজন করে পরীক্ষার্থী ছিল চার কলেজে।

গত বছর এই বোর্ডে শতভাগ ফেল করা কলেজ ছিল আটটি। এর আগে ২০১৫ সালে পাঁচটি, ২০১৪ সালে দুটি এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে চারটি করে কলেজ ছিল এই তালিকায়। তবে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ শতভাগ ফেলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।

বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তরুণ কুমার সরকার জানান, শূন্য পাসের ওই ১১ কলেজের মধ্যে সর্বাধিক আটজন পরীক্ষার্থী ছিলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে। পাঁচ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দাবিপুর কলেজ থেকে।

তিনজন করে পরীক্ষার্থী ছিল নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিএম ইনস্টিটিউট এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় শিমলা মহিলা কলেজের। আর দুজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নেয় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বড়বিহানলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং জয়পুরহাট সদরের হিসমি আদর্শ কলেজ থেকে।

এছাড়া একজন করে পরীক্ষার্থী ছিল নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শিরকলি বন্দর বিদ্যালয় ও কলেজ, নওগাঁর মান্দা উপজেলার পূর্বমান্দা আইডিয়াল কলেজ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার গণকপাড়া বিদ্যালয় ও কলেজ এবং জয়পুরহাট সদরের ভাদশা আইডিয়াল কলেজ।

এদিকে বোর্ডে এবার কেবল শতভাগ ফেল কলেজের সংখ্যাই বাড়েনি, বেড়েছে ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করা কলেজের সংখ্যাও। এ বছর এমন কলেজ রয়েছে ১৩৯টি। গত বছর তা ছিলো ১৮টি। এর আগে ২০১৫ সালে ২৬টি, ২০১৪ সালে ১৫টি এবং ২০১৩ সালে ৯টি কলেজ ছিলো এ তলিকায়।

এ বছর ৫০ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন এমন কলেজ রয়েছে ৫৬৯টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ৬১৮টি। এর আগে ২০১৫ সালে ৬২১টি, ২০১৪ সালে ৬১৮টি এবং ২০১৩ সালে ৬০১টি কলেজ ছিল এ তালিকায়।

তবে শতভাগ ফেল এবং ৫০ শতাংশের নিচে পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তাদের কোনো দায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার।

তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, এসব কলেজ শুধুমাত্র প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। ধারাবাহিকভাবে তারা এমন ফলাফল করলে কারণ খুঁজে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :