সাধারণ মানুষের বিপদে প্রশাসন নীরব থাকে কেন?
না, প্রশাসন ক্যাডারের কেউ নন, ইউএনও তারিককে হয়রানির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করেছিলো আমার মতো সাধারণ মানুষ। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে সাংবাদিকরা। প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন বরং ওই আইনজীবীর মতোই তার ত্রুটি খুঁজতে ব্যস্ত ছিল। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে, প্রশাসন ক্যাডারের লোকজনই তারিককে শুরুতে ফাঁসিয়েছিল।
তারিককে আদালতে হাজির করার পরেও প্রশাসনের লোকজন চুপ করে ছিল। সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তারা প্রতিবাদ শুরু করলেন এবং পুরোটা সময় নিজেদের দোষ চাপিয়ে তারা দায় চাপালেন বিচারক, পুলিশ, আইনজীবীর উপর। অথচ বিচারক তাকে জামিন দিয়েছেন, পুলিশ তার হাতে হাতকড়া না পরিয়ে কৌশলে তার পাশে থেকেছে। সাংবাদিকরা সারাদেশে খবর পৌঁছেছে।
কথাগুলো বলার কারণ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইশতিয়াক ভাইয়ের মতো আমারও খুব জানতে ইচ্ছে করছে এদেশের সাধারণ কোনো মানুষ যদি বিপদে পড়ে কিংবা সাংবাদিক, তখন কেন এই প্রশাসনের লোকজন সরব হয় না?
এই প্রশ্নটার উত্তর খুঁজলে দেখা যাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কিংবা ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষজন যতোটা সরব বাকিরা ততোটাই নীরব। বিশেষ করে ক্ষমতায় থাকা লোকজন। সেই নীরবতাই বাংলাদেশের কাল হচ্ছে। অথচ আমরা সবাই যদি অন্যায়কে অন্যায় বলে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করি মুহূর্তেই বদলে যাবে বাংলাদেশ।
সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী