অতিবৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বিভাগে আবার পাহাড় ধসের পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৭, ১২:৪৯ | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৭, ১২:২১

বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপের কারণে দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে দুই দিন ধরে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। আর সেখানকার পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ছোট ছোট ধস নামছে দুই দিন ধরে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে, বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে আবার পাহাড় ধস হতে পারে। সিলেট অঞ্চলের জন্যও এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্ক বার্তায় এই কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার), অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তার চেয়ে বেশি) বর্ষণ হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টর কারণে চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কেথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।’

গত ১২ জুন রাতভর বৃষ্টির পর ভোরে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে দেড় শতাধিক মৃত্যুর পর থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই ধরনের সতর্কবার্তাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক ঢাকাটাইমসকে জানান, এই সতর্কবার্তা তারা ফ্যাক্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর তারাই স্থানীয় অধিবাসীদেরকে সতর্ক করার উদ্যোগ নেবে।

বান্দরবানে রবিবারও পাহাড় ধসে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে আজ সকাল থেকে আবহাওয়ার এই সতর্কতা প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

আমাদের রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিমেল চাকমা জানান, দুই দিন ধরে বৃষ্টির কারণে সেখানে পাহাড় ধস নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানও নিচ্ছে।

আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে জামানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যেটা উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থা বিরাজ করছে। আর এর প্রভাবেই দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে।

আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ২৪ মিলিমিটার। তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে এটা আরও বেশি। এই জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩২ মিলি মিটার। চট্টগ্রামেরই পাহাড় অধ্যুষিত সীতাকুন্ডে বৃষ্টি হয়েছে ৬৬, পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টি হয়েছে ৯২ মিলি মিটার। এ ছাড়া কক্সবাজারে ১৫৫, কুতুবদিয়ায় ১৮৮ এবং টেকনাফে ৪৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক ঢাকাটাইমসকে জানান, মঙ্গলবার নাগাদ বৃষ্টি কমে যাবে। তবে বর্ষাকাল বলে বৃষ্টি পুরোপুরি কাটবে না।

এদিকে বৃষ্টির প্রভাবে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ভাঙা অংশে পানি জমে আছে। এ কারণে যানবাহনগুলো ওই অংশগুলো এড়িয়ে বাকি অংশ দিয়ে চলাচল করছে। ফলে সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে।

বৃষ্টি জনজীবনে আরও বেশি দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতা সেখানে পরিপূরক হয়ে গেছে। দুই দিন ধরেই পানিতে তলিয়ে আছে নগরীর নিচু এলাকা। গত দুই মাস ধরেই এই ধরনের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এসআর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :