চাঁদপুরে ব্যবসায়ী হত্যায় একজনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৭:০৮

চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকায় ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন মালকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধিতে একজনকে ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও একবছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুর দেড়টায় চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।

আদালত একই আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৯৪ ধারায় দোষী সাবস্ত করে ৭ বছরের সশ্রম করাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেনণ্ড লুৎফুর রহমান খালাশী (৩০)। তিনি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার পূর্ব ডামুড্যা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন মো. সুজন খাঁ (২৫)। তিনি চাঁদপুর শহরের মধ্যম শ্রীরামদী কবরস্থান রোডের নান্নু খাঁর ছেলে।

হত্যার শিকার ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন মাল শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার বড়ই গাঁও গ্রামের মৃত মিন্নত আলী মালের ছেলে। তিনি চাঁদপুরের পুরাণ বাজার দীর্ঘদিন ব্যবসা করতেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন মাল গত ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি শহরের পুরান বাজার তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পলাশ ট্রেডার্সের ব্যবসায়িক লেনণ্ডদেন সম্পন্ন করে রাত ১০টায় গদি ঘরে ঘুমিয়ে থাকেন। রাত আনুমানিক সোয়া ১১টায় উল্লেখিত আসামিরা পাশ্ববর্তী হাজী এন্টারপ্রাইজের ভিতরে দিয়ে পলাশ ট্রেডার্সে প্রবেশ করেন। তারা মুকবুলের কাছ থেকে সিন্ধুকের চাবি নিয়ে নগদ টাকা পয়সা নেয়ার সময় মুকবুল চিৎকার করলে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে গলাকেটে হত্যা করে। তার চিৎকারে সড়কে থাকা পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুকবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে এবং রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করে।

একই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় লুৎফুর ও সুজনকে আটক করেন। এই ঘটনায় নিহত মুকবুল হোসেন মালের ভাই আবুল হোসেন বাদীয় হয়ে রাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার তৎকালীন সময়ের উপণ্ডপরিদর্শক (এসআই) প্রদ্বীপ কুমার মজুমদার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত (পিপি) সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু জানান, দীর্ঘ ৪ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ২৩জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৭জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করায় এবং তাদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন। এছাড়া এ মামলার অপর আসামি জাহাঙ্গীর ঢালীর অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন। সরকার পক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) ছিলেন দ্বেবাশীষ কর মধু।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :