ঢাবির সিনেটের বিশেষ সভা হাইকোর্টে স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৮:৩৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য ডাকা সিনেটের বিশেষ সভা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৯ জুলাই এ সভা হওয়ার জন্য দিন নির্ধারণ রয়েছে।

সোমবার বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে রুলও দিয়েছেন আদালত।

রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালে ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের আগে উপাচার্য প্যানেলের নির্বাচন দেয়ায় অধিবেশন ডাকায় গতকাল রবিবার ঢাবির শিক্ষকসহ রেজিস্ট্রার গ্র্যাজুয়েটে ১৫ জন হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

ঢাবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক- এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ আগস্ট। ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি উপাচার্য হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আগামী ২৯ জুলাই পরবর্তী ভিসি নিয়োগে তিন সদস্যের প্যানেল মনোনয়নে সিনেটের এ বিশেষ অধিবেশনটি ডাকা হয়েছিল।

গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন সিনেট সভার জন্য। যাতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ আর ২১ (২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকাল চারটায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন। উক্ত বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১(১) ধারা অনুযায়ী চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করতে হবে। উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।

ডিএজি আমাতুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আবেদনকারীদের দাবি রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটের অনেক প্রতিনিধির পদ খালি। তাই এ নির্বাচন না দিয়ে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন করা ঠিক নয়। এ কারণে ১৬ জুলাইয়ের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন হাইকোর্ট রিট করেন।

রিটকারীরা হলেন- বরিশালের আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ খান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল আলম খান, ঢাকার একেএম আতিকুর রহমান, ফরিদপুরের ড. আব্দুল জব্বার মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক মো. হুয়ায়ুন কবির।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবু আহসান মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, প্রো-ভিসি (একাডেমিক), প্রো-ভিসি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা সচিব।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এমএবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :